পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাক্বী‘ ও নবীয সম্পর্কীয় বর্ণনা
৪২৯২-[৭] আবূ মালিক আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন : নিশ্চয় আমার উম্মাতের কিছু সংখ্যক লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]
عَن أبي مَالك الْأَشْعَرِيّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَيَشْرَبَنَّ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي الْخَمْرَ يُسَمُّونَهَا بِغَيْرِ اسْمِهَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
ব্যাখ্যাঃ তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ নবীযের হরেক নামে তারা মদ ক্রয় করবে। ইবনু মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ বৈধ নবীযের নামে তারা মদ পান করবে। যেমন মধুর পানি, ভুট্টার পানি অনুরূপ আর অন্য কিছু এবং তারা ধারণা বা দাবী করবে এগুলো হারাম না, কেননা এগুলো আঙ্গুর ও খেজুর হতে তৈরি না, মূলত তারা এ ব্যাপারে মিথ্যুক। কেননা প্রত্যেক নেশাগ্রস্তই হারাম। মূল বিষয় নেশা হারাম হওয়ার উপর। আর কাহওয়া পানে কোন দোষ নেই, কেননা তা প্রসিদ্ধ গাছের ছাল হতে তৈরি, বেশী পরিমাণ হলেও তাতে নেশা নেই। যদিও কাহওয়া মদের নামে পরিচিত, তবে তা শুধুমাত্র নামে। নেশা জাতীয় অন্যান্য নামগুলোও মদ পানের সাদৃশ্য তা নিষিদ্ধ যখন প্রমাণিত হবে যদিও তা পানি, দুধ ও অন্যান্যের মধ্যে হয়।
(অনুবাদের ভাষ্য) আধুনিককালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ ভবিষ্যদ্বাণী অবিকল প্রতিফলন ঘটেছে, যেমন মৃত সঞ্জীবনী সুধা ও সুরা ব্রান্ডি, হুইসকি, রেকটিফাইড স্পীড ইত্যাদি নামে হরদম বাজারে চালু বসেছে এবং নির্দ্বিধায় পান করা হচ্ছে। অথচ এগুলো ৮০% মদ ও মদের উপাদান। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)