পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা
৪২৮১-[১৯] কাবশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার গৃহে এলেন এবং একটি লটকানো মশক হতে দাঁড়ানো অবস্থায় পান করলেন। পরে আমি মশকের নিকট গিয়ে মশকের সে মুখখানা কেটে রেখে দিলাম। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ) [1]আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান, গরীব ও সহীহ।
وَعَن كبْشَةَ قَالَتْ: دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَرِبَ مِنْ فِي قِرْبَةٍ مُعَلَّقَةٍ قَائِمًا فَقُمْتُ إِلَى فِيهَا فَقَطَعْتُهُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غريبٌ صَحِيح
ব্যাখ্যাঃ হাদীসের সমর্থনে যা তিরমিযী বর্ণনা করেছেন উম্মু সুলায়ম (রাঃ) হতে অনুরূপ অর্থে তবে তাতে অতিরিক্ত এসেছে, وَقَالَتْ: لَا يَشْرَبُ مِنْهَا أَحَدٌ بَعْدَ شُرْبِ رَسُولِ اللهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পান করার পর আর কেউ যেন পান না করে।
আর ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) তিরমিযী হতে বর্ণনা করেন, মশকের মুখ কাটার দু’টি উদ্দেশ্য। সে স্থানটিকে সংরক্ষণ করা যেখানে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখ লেগেছে যাতে করে প্রত্যেকে তা স্পর্শ করতে পারে।
আর দ্বিতীয় মতে, তা হতে বারাকাত হাসিল করতে পারে এবং আরোগ্য লাভ করতে পারে। আর হাদীস প্রমাণ করে কলসের মুখ দিয়ে পান করার নিষেধাজ্ঞা হারাম নয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)