৪২৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - পানীয় দ্রব্যের বর্ণনা

৪২৬৫-[৩] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশক হতে ইখতিনাস করতে নিষেধ করেছেন। অপর এক রিওয়ায়াতের মধ্যে বর্ধিত আছে, ইখতিনাস হলো মশককে উল্টিয়ে ধরে তার মুখ হতে পানি পান করা। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْأَشْرِبَةِ

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اخْتِنَاثِ الْأَسْقِيَةِ. زَادَ فِي رِوَايَةٍ: وَاخْتِنَاثُهَا: أَنْ يُقْلَبَ رَأْسُهَا ثُمَّ يُشْرَبَ مِنْهُ

وعن ابي سعيد الخدري قال: نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن اختناث الاسقية. زاد في رواية: واختناثها: ان يقلب راسها ثم يشرب منه

ব্যাখ্যাঃ ‘আল্লামা সুয়ূত্বী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ দুর্গন্ধের কারণে এ কাজ করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে, প্রতিনিয়ত এভাবে পানি পান করলে পাত্রের গন্ধ পরিবর্তন হয়ে যাবে।

এটাও বলা হয় যে, পানির পাত্রের মুখ প্রশস্ত হওয়ার কারণে পানকারীর ওপর যেন পড়ে না যায় সে জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে পান করতে নিষেধ করেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৭১৬; তুহফাতুল আহ্ওয়াবী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৮৯০)

সকল ফকীহ একমত যে, এ নিষেধটি সতর্কতামূলক نَهْيُ تَنْزِيهٍ হারাম নিষেধ নয়। অতঃপর বলা হয়, এ নিষেধের কারণ হলো মশকের মুখে কোন ক্ষতিকর বস্তু থাকতে পারে যা তাকে কষ্ট দিবে, একই সাথে পাকস্থলীতে পানি যেয়ে ক্ষতি সাধন করতে পারে। এও বলা হয় যে, এভাবে পান করলে অন্যের কাছে অরুচিকর হতে পারে। এও বলা হয়েছে যে, এটা দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে অথবা এভাবে পান করাটা অরুচিকর। (শারহুন নাবাবী ১৩শ খন্ড, হাঃ ২০২৩)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব ২১: খাদ্য (كتاب الأطعمة)