পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অতিথি আপ্যায়ন প্রসঙ্গে
৪২৪৫-[৩] ’উকবাহ্ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলামঃ আপনি আমাদেরকে কোথাও পাঠালে আমরা যদি এমন এক জনপদে গিয়ে পৌঁছি, যারা আমাদের মেহমানদারী করছে না। এমতাবস্থায় (আমাদের করণীয় সম্পর্কে) আপনার অভিমত কী? তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে বললেনঃ যদি তোমরা কোন জনপদে অবতরণ করো, আর যদি তারা তা না করে, তবে তাদের নিকট হতে তাদের কর্তব্য পরিমাণ মেহমানের হক আদায় করে নেবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الضِّيَافَةِ
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قَلْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّك تبعثنا فتنزل بِقَوْمٍ لَا يُقْرُونَنَا فَمَا تَرَى؟ فَقَالَ لَنَا: «إِنْ نَزَلْتُمْ بِقَوْمٍ فَأَمَرُوا لَكُمْ بِمَا يَنْبَغِي لِلضَّيْفِ فَاقْبَلُوا فَانْ لَمْ يَفْعَلُوا فَخُذُوا مِنْهُمْ حق الضَّيْف الَّذِي يَنْبَغِي لَهُم»
ব্যাখ্যাঃ জামহূর বিদ্বানগণ বিভিন্নভাবে হাদীসটির ব্যাখ্যা করেছেন। প্রথমতঃ এখানে নিরুপায়দেরকে বুঝানো হয়েছে। কেননা তাদেরকে মেহমানদারী করা ওয়াজিব। যখন তারা মেহমনদারী না করবে তখন তারা তাদের প্রয়োজনমত বাধাদানকারীদের সম্পদ থেকে গ্রহণ করবে।
দ্বিতীয়তঃ এখানে উদ্দেশ্য হলো তারা জিহবা দিয়ে, তাদের (মেজবানের) সম্মান-মর্যাদা নিয়ে নিবে। মানুষের কাছে তাদের দোষ-ত্রুটি, তাদের কৃপণতার কথা বলে দিবে, তাদেরকে তিরস্কার করবে এবং তাদেরকে (মেজবানকে) নিন্দা করবে।
তৃতীয়তঃ এ বিধান ইসলামের প্রথম যুগে ছিল। তখন মেহমানদারী ওয়াজিব ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ইসলামের সম্প্রসারণের পর তা রহিত হয়ে গেছে। কাযী (রহিমাহুল্লাহ) এ রকম বর্ণনা করেছেন। এ মতটি দুর্বল অথবা বাতিল। কেননা এ মতের দাবীদার কে তা জানা যায় না।
চতুর্থতঃ আলোচ্য হাদীসের বিধান ঐ সকল জিম্মিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, যারা মুসলিমদের মেহমানদারী করার চুক্তিতে আবদ্ধ। আর মুসলিমরাও সেই জনপদে যাওয়ার পর ক্ষুধার তাড়নায় অস্থির হয়ে পড়েছে। এ মতটিও দুর্বল। এ রকম ঘটনা ‘উমার -এর সময়েই ঘটেছিল। (শারহুন নাবাবী ১২ম খন্ড, হাঃ ১৭২৭)