৪০৮২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪০৮২-[১৯] আবুল ’উশারা তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! গলা গ্রীবা ব্যতীত অন্য কোন স্থানে কি যাবাহ করা যায় না? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যদি তুমি তার উরুর মধ্যেও ক্ষত করে দাও তাও তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]

তবে ইমাম আবূ দাঊদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ এটা ঐ জানোয়ারের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যা কোন খাদে পড়ে গিয়েছে। আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ এটা অস্বাভাবিক অবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে যাবাহ করার বিধান।

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَن أبي العُشَراءِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمَا تَكُونُ الذَّكَاةُ إِلَّا فِي الْحَلْقِ وَاللَّبَّةِ؟ فَقَالَ: «لَوْ طَعَنْتَ فِي فَخِذِهَا لَأَجْزَأَ عَنْكَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهَذِهِ ذَكَاةُ الْمُتَرَدِّي وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا فِي الضَّرُورَة

وعن ابي العشراء عن ابيه انه قال: يا رسول الله اما تكون الذكاة الا في الحلق واللبة؟ فقال: «لو طعنت في فخذها لاجزا عنك» . رواه الترمذي وابو داود والنساىي وابن ماجه والدارمي وقال ابو داود: وهذه ذكاة المتردي وقال الترمذي: هذا في الضرورة

ব্যাখ্যাঃ উক্ত হাদীসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসাকারীর উত্তরে বলেছেনঃ যদি তুমি পশুর রানে আঘাত কর সেটিই তোমার জন্য যাবাহ হিসেবে যথেষ্ট হয়ে যাবে।

এ কথার প্রতিপাদ্য বিষয় হলো মারাত্মক প্রয়োজনের সময় শরীরের যে কোন জায়গায় জখম করলেই তা যাবাহ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় কণ্ঠনালীর মাঝে যাবাহ করতে হবে। আর স্বভাবিকভাবে যাবাহ করার ক্ষেত্রে গলার রগগুলো কাটতে হবে। কারণ সেটিই হলো জান বের হওয়ার স্থান। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

তুহফাতুল আহ্ওয়াযীতে বলা হয়েছে, হাদীস বিশারদগণ বলেনঃ বিশেষ প্রয়োজনে যখম করার দ্বারাই যাবাহ করা যথেষ্ট হয়ে যাবে। যেমন কোন পশু কূপে বা গর্তে পড়ে গেলে তাকে জখম করলেই যাবাহ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হয়ে যাবে।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করার পর বলেন, জখম করাটা যাবাহ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হবে শুধুমাত্র কূপে বা গর্তে পড়া পশু অথবা পলায়নকারী পশু বা বন্য পশুর ব্যাপারে, অন্য ক্ষেত্রে তা সঠিক হবে না। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪৮১)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবুল ‘উশারা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح)