১৪৯৮

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি গোলাম বা বাঁদীর মধ্যে তাহার নির্ধারিত অংশকে আযাদ করে তাহার মাসআলা

রেওয়ায়ত ১. আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি গোলামের মধ্যে তাহার নির্ধারিত অংশকে আযাদ করিয়া দেয় এবং তাহার রহিয়াছে মাল (সঙ্গতি) যাহা গোলামের মূল্য পরিমাণ হইবে, তবে তাহার উদ্দেশ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে মূল্য নিরূপণ করা হইবে, অতঃপর শরীকদিগকে তাহাদের স্ব-স্ব অংশ দেওয়া হইবে এবং তাহার পক্ষ হইতে গোলাম আযাদ হইয়া যাইবে। নতুবা [অর্থাৎ গোলামের মূল্য পরিমাণ অর্থ আযাদী প্রদানকারীর নিকট থাকিলে] যতটুকুর সে স্বত্বাধিকারী উহার সেই অংশ আযাদ হইয়াছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ গোলামের ব্যাপারে আমাদের নিকট যাহা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত মত তাহা হইতেছে এই যে গোলামের কর্তা তাহার গোলামের এক-তৃতীয়াংশ অথবা এক-চতুর্থাংশ অথবা অর্ধেক অথবা অংশ হইতে যে কোন অংশ আযাদ করিয়াছে তাহার মৃত্যুর পর [অর্থাৎ জীবিতাবস্থায় বলিয়াছে যে তাহার মৃত্যুর পর গোলামের সেই অংশ আযাদ হইবে]। তবে কর্তা যতটুকু আযাদ করিয়াছে এবং যেই পরিমাণ অংশ নির্দিষ্ট করিয়াছে গোলাম-এর সেই পরিমাণ অংশই আযাদ হইবে। কারণ এই নির্ধারিত পরিমাণ বা অংশের আযাদী ওয়াজিব হইয়াছে কর্তার মৃত্যুর পর। পক্ষান্তরে তাহার কর্তা জীবিত থাকিতে এই ব্যাপারে তাহার ইখতিয়ার ছিল। অর্থ দ্বারা ক্রয় করিয়া অবশিষ্ট অংশ আযাদ করার ইখতিয়ারও তাহার ছিল। যখন ওসীয়াতকারী কর্তার ওসীয়্যত অনুসারে গোলাম মুক্তিপ্রাপ্ত হইয়াছে, তবে ওসীয়াতকারীর অধিকার শুধু সেই অংশে, যেই অংশ তিনি আযাদ করার জন্য নির্দিষ্ট করিয়াছেন, কারণ ঐ নির্ধারিত অংশ তাহার নিজস্ব সম্পদ। কাজেই গোলামের অবশিষ্ট অংশ আযাদ হয় নাই। কারণ তাহার মালে এখন অন্যের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। তবে অবশিষ্ট অংশ অন্যান্য লোকের পক্ষ হইতে কিরূপে আযাদ করা হইবে? যাহারা প্রথম আযাদ করে নাই, যাহারা উহাকে স্বীকৃতি প্রদান করে নাই, আর যাহারা স্বত্বেরও অধিকারী নহে ও স্বত্ব তাহদের জন্য প্রমাণিতও হয় নাই। ইহা করিয়াছেন মৃত ব্যক্তি — সেই আযাদ করিয়াছে স্বত্বাধিকার ও তাহার জন্য নির্ধারিত হইয়াছে। কাজেই অন্য কাহারো মালের উপর এই (গোলামের বাকী অংশ আযাদ করার) বোঝা চাপাইয়া দেওয়া হইবে না। অবশ্য সে যদি গোলামের অবশিষ্ট অংশ তাহার মাল হইতে আযাদ করার জন্য ওসীয়্যত করিয়া থাকে, তবে তাহার শরীক ও ওয়ারীসানদের উপর উহা জরুরী হইবে। শরীকগণ ইহা অস্বীকার করিতে পারবে না। ইহা প্রযোজ্য হইবে মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ মাল হইতে। কারণ ইহাতে ওয়ারিসানদের কোন ক্ষতি নাই।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি পীড়িত অবস্থায় তাহার গোলামের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করে এবং সে আযাদ করিয়াছে পরিষ্কারভাবে। তবে সে ক্রীতদাসের সম্পূর্ণ আযাদ হইবে তাহার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে। কারণ এই ব্যক্তি সেই ব্যক্তির মতো নহে, যে তাহার মৃত্যুর পর ক্রীতদাসের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করিয়াছে, কারণ সে ব্যক্তি মৃত্যুর পর ক্রীতদাসের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করিতেছে, সে জীবিত থাকিলে উহা হইতে ফিরিয়া যাইতে পারে, আযাদী কার্যকর নাও করিতে পারে। [ইহা হইতেছে ওসীয়্যত, ওসীয়্যাতে রুজু করার ইখতিয়ার থাকে অর্থাৎ ওসীয়্যত হইতে প্রত্যাবর্তনের স্বাধীনতা থাকে।]

আর যে ক্রীতদাসের কর্তা পীড়িতাবস্থায় উহার এক-তৃতীয়াংশ আষাদ করিয়াছে পরিষ্কাররূপে, সে জীবিত থাকিলে গোলাম পূর্ণ আযাদী লাভ করবে, আর মৃত্যু হইলে তাহার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে তাহাকে আযাদ করা হইবে। ইহার কারণ এই যে, মৃত ব্যক্তির হুকুম বৈধ হয় তাহার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশে, যেমন সুস্থ ব্যক্তির হুকুম বৈধ হইবে তাহার সম্পূর্ণ সম্পদের মধ্যে।

بَاب مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِلَّا فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ
قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْعَبْدِ يُعْتِقُ سَيِّدُهُ مِنْهُ شِقْصًا ثُلُثَهُ أَوْ رُبُعَهُ أَوْ نِصْفَهُ أَوْ سَهْمًا مِنْ الْأَسْهُمِ بَعْدَ مَوْتِهِ أَنَّهُ لَا يَعْتِقُ مِنْهُ إِلَّا مَا أَعْتَقَ سَيِّدُهُ وَسَمَّى مِنْ ذَلِكَ الشِّقْصِ وَذَلِكَ أَنَّ عَتَاقَةَ ذَلِكَ الشِّقْصِ إِنَّمَا وَجَبَتْ وَكَانَتْ بَعْدَ وَفَاةِ الْمَيِّتِ وَأَنَّ سَيِّدَهُ كَانَ مُخَيَّرًا فِي ذَلِكَ مَا عَاشَ فَلَمَّا وَقَعَ الْعِتْقُ لِلْعَبْدِ عَلَى سَيِّدِهِ الْمُوصِي لَمْ يَكُنْ لِلْمُوصِي إِلَّا مَا أَخَذَ مِنْ مَالِهِ وَلَمْ يَعْتِقْ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ لِأَنَّ مَالَهُ قَدْ صَارَ لِغَيْرِهِ فَكَيْفَ يَعْتِقُ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ عَلَى قَوْمٍ آخَرِينَ لَيْسُوا هُمْ ابْتَدَءُوا الْعَتَاقَةَ وَلَا أَثْبَتُوهَا وَلَا لَهُمْ الْوَلَاءُ وَلَا يَثْبُتُ لَهُمْ وَإِنَّمَا صَنَعَ ذَلِكَ الْمَيِّتُ هُوَ الَّذِي أَعْتَقَ وَأُثْبِتَ لَهُ الْوَلَاءُ فَلَا يُحْمَلُ ذَلِكَ فِي مَالِ غَيْرِهِ إِلَّا أَنْ يُوصِيَ بِأَنْ يَعْتِقَ مَا بَقِيَ مِنْهُ فِي مَالِهِ فَإِنَّ ذَلِكَ لَازِمٌ لِشُرَكَائِهِ وَوَرَثَتِهِ وَلَيْسَ لِشُرَكَائِهِ أَنْ يَأْبَوْا ذَلِكَ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ لِأَنَّهُ لَيْسَ عَلَى وَرَثَتِهِ فِي ذَلِكَ ضَرَرٌ قَالَ مَالِك وَلَوْ أَعْتَقَ رَجُلٌ ثُلُثَ عَبْدِهِ وَهُوَ مَرِيضٌ فَبَتَّ عِتْقَهُ عَتَقَ عَلَيْهِ كُلُّهُ فِي ثُلُثِهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يُعْتِقُ ثُلُثَ عَبْدِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ لِأَنَّ الَّذِي يُعْتِقُ ثُلُثَ عَبْدِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ لَوْ عَاشَ رَجَعَ فِيهِ وَلَمْ يَنْفُذْ عِتْقُهُ وَأَنَّ الْعَبْدَ الَّذِي يَبِتُّ سَيِّدُهُ عِتْقَ ثُلُثِهِ فِي مَرَضِهِ يَعْتِقُ عَلَيْهِ كُلُّهُ إِنْ عَاشَ وَإِنْ مَاتَ عَتَقَ عَلَيْهِ فِي ثُلُثِهِ وَذَلِكَ أَنَّ أَمْرَ الْمَيِّتِ جَائِزٌ فِي ثُلُثِهِ كَمَا أَنَّ أَمْرَ الصَّحِيحِ جَائِزٌ فِي مَالِهِ كُلِّهِ

حدثني مالك عن نافع عن عبد الله بن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من اعتق شركا له في عبد فكان له مال يبلغ ثمن العبد قوم عليه قيمة العدل فاعطى شركاءه حصصهم وعتق عليه العبد والا فقد عتق منه ما عتق قال مالك والامر المجتمع عليه عندنا في العبد يعتق سيده منه شقصا ثلثه او ربعه او نصفه او سهما من الاسهم بعد موته انه لا يعتق منه الا ما اعتق سيده وسمى من ذلك الشقص وذلك ان عتاقة ذلك الشقص انما وجبت وكانت بعد وفاة الميت وان سيده كان مخيرا في ذلك ما عاش فلما وقع العتق للعبد على سيده الموصي لم يكن للموصي الا ما اخذ من ماله ولم يعتق ما بقي من العبد لان ماله قد صار لغيره فكيف يعتق ما بقي من العبد على قوم اخرين ليسوا هم ابتدءوا العتاقة ولا اثبتوها ولا لهم الولاء ولا يثبت لهم وانما صنع ذلك الميت هو الذي اعتق واثبت له الولاء فلا يحمل ذلك في مال غيره الا ان يوصي بان يعتق ما بقي منه في ماله فان ذلك لازم لشركاىه وورثته وليس لشركاىه ان يابوا ذلك عليه وهو في ثلث مال الميت لانه ليس على ورثته في ذلك ضرر قال مالك ولو اعتق رجل ثلث عبده وهو مريض فبت عتقه عتق عليه كله في ثلثه وذلك انه ليس بمنزلة الرجل يعتق ثلث عبده بعد موته لان الذي يعتق ثلث عبده بعد موته لو عاش رجع فيه ولم ينفذ عتقه وان العبد الذي يبت سيده عتق ثلثه في مرضه يعتق عليه كله ان عاش وان مات عتق عليه في ثلثه وذلك ان امر الميت جاىز في ثلثه كما ان امر الصحيح جاىز في ماله كله


Malik related to me from Nafi from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace,said, "If a man frees his share of a slave and has enough money to cover the full price of the slave justly evaluated for him, he must buy out his partners so that the slave is completely freed. If he doesn't have the money, he partially frees him.

Malik said, "The generally agreed-on way of doing things among us in the case of slave whose master makes a bequest to free part of him - a third, a fourth, a half, or any share after his death, is that only the portion of him is freed that his master has named. This is because the freeing of that portion is only obliged to take place after the death of the master because the master has the option to withdraw the bequest as long as he lives. When the slave is freed from his master, the master is a testator and the testator only has access to free what he can take from his property, being the third of the property he is allowed to bequeath, and the rest of the slave is not free because the man's property has gone out of his hands. How can the rest of the slave which belongs to other people be free when they did not initiate the setting free and did not confirm it and they do not have the wala' established for them? Only the deceased could do that. He was the one who freed him and the one for whom the wala' was confirmed. That is not to be borne by another's property unless he bequeaths within the third of his property what remains of a lave to be freed. That is a request against his partners and inheritors and the partners must not refuse the slave that when it is within the third of the dead man's property because there is no harm in that to the inheritors."

Malik said, "If a man frees a third of his slave while he is critically ill, he must complete the emancipation so all of him is free from him, if it is within the third of his property that he has access to, because he is not treated in the same way as a man who frees a third of a slave after his death, because had the one who freed a third of his slave after his death lived, he could have cancelled it and the slave's being set free would be of no effect. The master who made the freeing of the third of the slave irrevocable in his illness, would still have to free all of him if he lived. If he died, the slave would be set free within the third of the bequest. That is because the command of the deceased is permissible in his third as the command of the healthy is permissible in all his property."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء)