পরিচ্ছেদঃ

১১৫৯। কিয়ামতের দিন জাহান্নামীদের মধ্য থেকে সর্বাপেক্ষা কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হবে সেই ব্যক্তি যে কোন নবীকে হত্যা করেছে অথবা যাকে কোন নবী হত্যা করেছে এবং অত্যাচারী শাসক ও ছবি অঙ্কনকারীরা।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটি ত্ববারানী (৩/৮১/১) উমর ইবনু খালেদ মাখযুমী হতে, তিনি আবু নুবাতাহ ইউনুস ইবনু ইয়াহইয়া হতে, তিনি আব্বাদ ইবনু কাসীর হতে, তিনি লাইস ইবনু আবী সুলাইম হতে ... বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। এতে দুটি সমস্যা রয়েছেঃ

১। মস্তিষ্ক বিকৃতির কারণে বর্ণনাকারী লাইস ইবনু আবী সুলাঈম দুর্বল।

২। আব্বাদ ইবনু কাসীর যদি সাকাফী বাসরী হন তাহলে তিনি মিথ্যা বর্ণনা করার দ্বারা দোষী। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মাতরুক। ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি কতিপয় মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর তিনি যদি রামলী ফিলিস্তনী হন, আমার ধারণা আব্বাদ দ্বারা এ ফিলিস্তনী ব্যক্তিকেই বুঝানো হয়েছে, তাহলে তিনি দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার এর সম্পর্কে বলেনঃ তিনি দুর্বল। ইবনু আদী বলেনঃ ইনি আব্বাদ সাকাফীর চেয়ে উত্তম।

অনুরূপ একটি হাদীস ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন সে হাদীসটি সহীহ। আমি সেটিকে "সিলসিলা সহীহাহ" গ্রন্থে (২৮১ নং) উল্লেখ করেছি। আলোচ্য এ দুর্বল হাদীসটি আর ইমাম আহমাদ কর্তৃক বর্ণিত সহীহ হাদীসটির মধ্যে ভাষায় কিছু পার্থক্য রয়েছে।