পরিচ্ছেদঃ
১১৫৭। কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট মর্যাদার দিক দিয়ে সর্বা উত্তম ব্যক্তি হচ্ছে ন্যায়পরায়ণ দয়ালু শাসক, আর কিয়ামতের দিন মর্যাদার (মন্দের) দিক দিয়ে আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ব্যক্তি হচ্ছে অত্যাচারী বোকা শাসক।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি ত্ববারানী "আল-মুজামুল আওসাত" গ্রন্থে (১/২০০/২) আহমাদ ইবনু রিশদীন হতে, তিনি ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়ের হতে, তিনি ইবনু লাহী’য়াহ হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু যায়েদ হতে ... বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীসটি ইবনু লাহীয়াহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি দুর্বল বর্ণনাকারী। কিন্তু ইবনু রিশদীন তার চেয়েও বেশী দুর্বল। তিনি হচ্ছেন আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনিল হাজ্জাজ ইবনে রিশদীন ইবনে সা’দ আবু জাফার মিসরী। হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ ইবনু আদী বলেনঃ মুহাদ্দিসগণ তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। আমি তার অনেক কিছুই প্রত্যাখ্যান করেছি। অতঃপর তিনি তার বাতিল হাদীসগুলোর মধ্য থেকে হাসান ও হুসাইন এর ফাযীলাত সম্পর্কে একটি হাদীস উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু এ সমস্যার কথা ভুলে গিয়ে হাফিয মুনযেরী "আত-তারগীব" গ্রন্থে (৩/১৩৬) অতঃপর হায়সামী "আল-মাজমা" গ্রন্থে (৫/১৯৭) শুধুমাত্র ইবনু লাহীয়্যার দ্বারাই হাদীসটির সমস্যা বর্ণনা করেছেন। অতঃপর প্রথম জন বলেছেনঃ মুতাবায়াতের ক্ষেত্রে তার হাদীস গ্রহণযোগ্য। আর দ্বিতীয় জন বলেছেনঃ তার হাদীস হাসান, তবে তার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে।
أفضل الناس عند الله منزلة يوم القيامة إمام عدل رفيق، وشر عباد الله منزلة يوم القيامة إمام جائر خرق
ضعيف
-
أخرجه الطبراني في " المعجم الأوسط " (1/200/2) : نا أحمد بن رشدين: حدثنا يحيى بن بكير: حدثنا ابن لهيعة: حدثني محمد بن زيد بن المهاجر بن قنفذ عن أبيه عن عمر بن الخطاب أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: فذكره وقال
" لا يروى عن عمر إلا بهذا الإسناد، تفرد به ابن لهيعة "
قلت: وهو ضعيف. لكن ابن رشدين أشد ضعفا منه وهو أحمد بن محمد بن الحجاج بن رشدين بن سعد أبو جعفر المصري قال الذهبي في الميزان
قال ابن عدي: كذبوه، وأنكرت عليه أشياء. قلت فمن أباطيله
ثم ساق له حديثا في فضل الحسن والحسين
وقد ذهل عن هذه العلة الحافظ المنذري في " الترغيب " (3/136) ، ثم الهيثمي في " المجمع " (5/197) فاقتصرا على إعلال الحديث بابن لهيعة فقط، فقال الأول
" وحديثه حسن في المتابعات "
وقال الآخر
وحديثه حسن، وفيه ضعف