পরিচ্ছেদঃ
১১১৭। সর্বাপেক্ষা বরকতপূর্ণ মহিলা সেই যাদের খরচাদি কম।
হাদিসটি দুর্বল।
এটিকে নাসাঈ “ইশরাতুন নিসা” গ্রন্থে (২/৯৯/১), ইবনু আবী শাইবাহ (৭/১৯/২), হাকিম (২/১৭৮), বাইহাকী (৭/২৩৫) ও আহমাদ (৬/ ৮২ ও ১৪৫ - ২৩৯৬৬) ইবনু সাখবারাহ সূত্রে কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি আয়েশা (রাঃ) হতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।
হাকিম ও বাইহাকী مؤنة (খরচাদি) শব্দের স্থলে صداقا (মাহর) শব্দ বলেছেন। হাকিম বলেনঃ এটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। হাফিয যাহাবীও তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তারা দু’জন এরূপই বলেছেন অথচ ইবনু সাখবারা ইমাম মুসলিমের বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত নন এবং নাসাঈ ছাড়া ছয়টি হাদীস গ্রন্থের কোনটিরই বর্ণনাকারী নন।
হাফিয যাহাবী নিজে বলেছেনঃ তাকে চেনা যায় না। তাকে ঈসা ইবনু মায়মুন বলা হয়ে থাকে। অনুরূপ কথা “আত-তাহযীব” ও “আত-তাকরীব” গ্রন্থেও এসেছে।
ইবনু আবী হাতিম “আল-জারহ” গ্রন্থে (৩/২৭৮/১) ঈসা ইবনু মায়মূনের জীবনীতে বলেনঃ তার নামই হচ্ছে ইবনু সাখবারাহ। তিনি কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ হতে বর্ণনা করেছেন আর তার (ইবনু সাখবারাহ) থেকে হাম্মাদ ইবনু সালামাহ বর্ণনা করেছেন। ইবনু মাঈন বলেনঃ কাসেমের সাথী ঈসা ইবনু মায়মূন কিছুই না। আমার পিতা আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস।
হায়সামী “আল-মাজমা" গ্রন্থে (৪/২৫৫) বলেনঃ তিনি মাতরূক।
হাকিমের বর্ণনায় ইবনু সাখবারার নাম উল্লেখ করা হয়েছে তিনি হচ্ছেন উমার ইবনু তুফায়েল ইবনে সাখবারাহ মাদানী। আর হাকিমের সূত্রে বাইহাকীর বর্ণনায় আমর বলা হয়েছে। তিনি যদি আমর হন তাহলে তার জীবনী কে আলোচনা করেছেন পাওয়া যাচ্ছে না। আর তিনি যদি মাদানী হন তাহলে তিনি খুবই দুর্বল।
হাফিয ইরাকী “তাখরাজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৪/১৩১) যে বলেছেন হাদীসটির সনদ ভাল, তার এ কথাটি ভাল নয়।
আলোচ্য হাদীস হতে আমাদেরকে নিরাপদে রাখতে পারে আয়শা (রাঃ) হতে বর্ণিত অন্য একটি হাদীস যেটিকে ইবনু হিব্বান ও হাকিম হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি সম্পর্কে আমি “আল-ইরওয়া” গ্রন্থে (১৯৮৬) আলোচনা করেছি। সেটিতে বলা হয়েছেঃ বরকতের অধিকারী নারী হচ্ছে সেই নারী যাকে (যার অভিভাবককে) সহজেই বিয়ের প্রস্তাব দেয়া যায় (প্রস্তাব দেয়া যায় সহজে এবং গৃহীত হয় সহজেই), যার মাহরের দাবী থাকে কম এবং যার রেহেম থাকে সহজ (অর্থাৎ বেশী বেশী সন্তান ধারণকারী মহিলা)।
أعظم النساء بركة أيسرهن مؤنة
ضعيف
-
رواه النسائي في " عشرة النساء " (2/99/1) وابن أبي شيبة (7/19/2) والحاكم (2/178) والبيهقي (7/235) وأحمد (6/82 و145) من طريق ابن سخبرة عن القاسم بن محمد عن عائشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: فذكره. إلا أن الحاكم والبيهقي قالا
" صداقا ". وقال الحاكم
" صحيح على شرط مسلم ". ووافقه الذهبي
قلت: كذا قالا، وابن سخبرة ليس من رجال مسلم ولا أحد من أصحاب الستة غير النسائي، قال الذهبي نفسه
" لا يعرف، ويقال: هو عيسى بن ميمون ". ونحوه في " التهذيب " و" التقريب
وقال ابن أبي حاتم في " الجرح " (3/287/1) في ترجمة عيسى بن ميمون: روى عن القاسم بن محمد، روى عنه حماد بن سلمة، فسماه ابن سخبرة
ثم روى عن عبد الرحمن بن مهدي أنه قال: استعديت على عيسى بن ميمون في هذه الأحاديث عن القاسم بن محمد في النكاح وغيره فقال: لا أعوذ. وقال ابن معين: عيسى بن ميمون صاحب القاسم عن عائشة، ليس بشيء. وقال أبي: هو متروك الحديث
وقال الهيثمي في " المجمع " (4/255)
رواه أحمد والبزار، وفيه ابن سخبرة، يقال: اسمه عيسى بن ميمون، وهو متروك
قلت: لكن وقع مسمى في رواية الحاكم فقال: " عمر بن طفيل بن سخبرة المدني
ومن طريق الحاكم رواه البيهقي، لكن وقع عنده " عمرو " بالواو، وسواء كان " عمر " أو" عمرا " فلم أجد من ذكره، فتصحيحه على شرط مسلم وهم، لأنه غير معروف كما تقدم عن الذهبي، فإن كان هو عيسى بن ميمون المدني كما جزم ابن أبي حاتم فهو واه جدا
ومنه يعلم أن قول الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (4/131 - طبع لجنة نشر الثقافة الإسلامية) بعدما عزاه لأحمد والبيهقي
" وإسناده جيد "، غير جيد
وبعد كتابة ما تقدم رأيت الحديث قد أخرجه أبو مسعود أحمد بن الفرات في " أحاديثه (ق 39/1) عن ابن سخبرة وسماه " الطفيل ". وكذلك رواه مسمى الخطيب في " الموضح " (1/174) من طرق عن الطفيل. ورواه هو والقضاعي في " مسند الشهاب " (2/2 /2) من طريق عيسى بن ميمون عن القاسم به. وتابعه عند الخطيب موسى بن تليدان. ولم أعرفه، وأما تسميته ابن سخبرة بـ " الطفيل " فهو خطأ بين لأن الطفيل بن سخبرة صحابي وهو أخوعائشة لأمها
ويغني عن هذا الحديث حديث عائشة الآخر بلفظ
إن من يمن المرأة تيسير خطبتها وتيسير صداقها، وتيسير رحمها
أخرجه ابن حبان والحاكم وغيرهما بسند حسن كما بينته في " الإرواء " (1986)