৬৪৩০

পরিচ্ছেদঃ ২৮৮৬. যখন একটি দল কোন এক ব্যক্তিকে বিপন্ন করে তোলে, তখন তাদের সকলকে শাস্তি প্রদান করা হবে কি? অথবা সকলের নিকট থেকে কিসাস গ্রহন করা হবে কি? মুতাররিফ (রহঃ) শাবী (রহঃ) থেকে এমন দু জন ব্যক্তির ব্যাপারে বর্ণনা করেন যারা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছিল যে, সে চুরি করেছে। তখন আলী (রাঃ) তার হাত কেটে ফেললেন। তারপর তারা অপর একজনকে নিয়ে এসে বলল, আমরা ভুল করে বসেছি। তখন তিনি তাদের সাক্ষ্য বাতিল করে দিলেন এবং প্রথম ব্যক্তির দীয়ত (রক্তপণ) গ্রহণ করলেন। আর বললেন, যদি আমি জানতাম যে তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কাজটি করেছে, তাহলে তোমাদের উভয়ের হাত কেটে ফেলতাম। আবূ আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেন, আমাকে ইবনু বাশশার (রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একটি বালককে গোপনে হত্যা করা হয়। তখন উমর (রাঃ) বললেন, যদি গোটা সান’আবাসী এতে অংশ নিত তাহলে আমি তাদেরকে হত্যা করতাম। মুগীরা ইবনু হাকীম (রহঃ) আপন পিতা হাকীম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, চারজন লোক একটি বালককে হত্যা করেছিল। তখন উমর (রাঃ) অনুরূপ কথা বলেছিলেন। আবূ বকর ও ইবনু যুবায়র, আলী ও সুওয়ায়দ ইবনু মুকাররিন (রাঃ) থাপ্পড়ের ক্ষেত্রে কিসাসের নির্দেশ দেন। উমর (রাঃ) ছড়ি দিয়ে প্রহারের ব্যাপারে কিসাসের নির্দেশ দেন। আর আলী (রাঃ) তিনটি বেত্রাঘাতের জন্য কিসাসের নির্দেশ দেন এবং শুরায়হ (রহঃ) একটি বেত্রাঘাত ও নখের আঁচড়ের জন্য কিসাস কার্যকর করেন।

৬৪৩০। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসুখের সময় তার মুখের কিনারায় ঔষধ ঢেলে দিলাম। আর তিনি আমাদের দিকে ইশারা করতে থাকলেন যে, তোমরা আমার মূখের কিনারায় ঔষধ ঢেলে দিও না। আমরা মনে করলাম যে, রোগীর ঔষধের প্রতি অনীহা-ই এর কারণ। যখন তিনি হুশ ফিরে পেলেন, তখন বললেনঃ আমাকে (জোর পূর্বক) ঔষধ সেবন করাতে কি তোমাদেরকে নিষেধ করিনি? আমরা বললাম, রোগীর ঔষধের প্রতি অনীহা তাই এর কারণ বলে আমরা মনে করেছি। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের মাঝে যেন এমন কেউ না থাকে যার মুখে জোরপূর্বক ঔষধ ঢালা হয় আর আমি দেখতে থাকব শুধু আব্বাস ব্যতীত। কেননা, সে তোমাদের সাথে ছিল না।

باب إذا أصاب قوم من رجل هل يعاقب أو يقتص منهم كلهم وقال مطرف عن الشعبي في رجلين شهدا على رجل أنه سرق فقطعه علي ثم جاءا بآخر وقالا أخطأنا فأبطل شهادتهما وأخذا بدية الأول وقال لو علمت أنكما تعمدتما لقطعتكما وقال لي ابن بشار حدثنا يحيى عن عبيد الله عن نافع عن ابن عمر رضي الله عنهما أن غلاما قتل غيلة فقال عمر لو اشترك فيها أهل صنعاء لقتلتهم وقال مغيرة بن حكيم عن أبيه إن أربعة قتلوا صبيا فقال عمر مثله وأقاد أبو بكر وابن الزبير وعلي وسويد بن مقرن من لطمة وأقاد عمر من ضربة بالدرة وأقاد علي من ثلاثة أسواط واقتص شريح من سوط وخموش

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ لَدَدْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ، وَجَعَلَ يُشِيرُ إِلَيْنَا ‏"‏ لاَ تَلُدُّونِي ‏"‏‏.‏ قَالَ فَقُلْنَا كَرَاهِيَةُ الْمَرِيضِ بِالدَّوَاءِ، فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ ‏"‏ أَلَمْ أَنْهَكُمْ أَنْ تَلُدُّونِي ‏"‏‏.‏ قَالَ قُلْنَا كَرَاهِيَةٌ لِلدَّوَاءِ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ يَبْقَى مِنْكُمْ أَحَدٌ إِلاَّ لُدَّ ـ وَأَنَا أَنْظُرُ ـ إِلاَّ الْعَبَّاسَ فَإِنَّهُ لَمْ يَشْهَدْكُمْ ‏"‏‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا يحيى، عن سفيان، حدثنا موسى بن ابي عاىشة، عن عبيد الله بن عبد الله، قال قالت عاىشة لددنا رسول الله صلى الله عليه وسلم في مرضه، وجعل يشير الينا ‏"‏ لا تلدوني ‏"‏‏.‏ قال فقلنا كراهية المريض بالدواء، فلما افاق قال ‏"‏ الم انهكم ان تلدوني ‏"‏‏.‏ قال قلنا كراهية للدواء‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا يبقى منكم احد الا لد ـ وانا انظر ـ الا العباس فانه لم يشهدكم ‏"‏‏.‏


Narrated `Aisha:

We poured medicine into the mouth of Allah's Messenger (ﷺ) during his illness, and he pointed out to us intending to say, "Don't pour medicine into my mouth." We thought that his refusal was out of the aversion a patient usually has for medicine. When he improved and felt a bit better he said (to us.) "Didn't I forbid you to pour medicine into my mouth?" We said, "We thought (you did so) because of the aversion, one usually have for medicine." Allah's Messenger (ﷺ) said, "There is none of you but will be forced to drink medicine, and I will watch you, except Al-`Abbas, for he did not witness this act of yours."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭৬/ রক্তপন (كتاب الديات)