পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিচারকার্য এবং সাক্ষ্যদান
৩৭৭১-[১৪] জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, দু’ ব্যক্তি একটি পশুর ব্যাপারে স্বীয় দাবী পেশ করল। অতঃপর তারা উভয়েই স্বীয় দাবীর সমর্থনে সাক্ষ্য-প্রমাণ পেশ করে বলল, ষাঁড় দ্বারা প্রজনন করিয়ে বাচ্চা লাভ করেছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পশুটি তার জন্য ফায়সালা করলেন, যার তত্ত্বাবধানে ছিল। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
وَعَن جابرِ بن عبدِ الله: أَنَّ رَجُلَيْنِ تَدَاعَيَا دَابَّةً فَأَقَامَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا الْبَيِّنَةَ أَنَّهَا دَابَّتُهُ نَتَجَهَا فَقَضَى بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلَّذِي فِي يدِهِ. رَوَاهُ فِي «شرح السّنة»
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে পাওয়া যাচ্ছে, দু’জন লোক একটি জন্তুর দাবী করছে এবং দু’জনের দলীল আছে কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিচারের সময় যার হাতে জন্তুটি ছিল তারপক্ষে রায় দিলেন, তাই এসব ক্ষেত্রে এভাবেই বিচারকার্য সমাধা করতে হয়। এক্ষেত্রে ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) যে মতামত দিয়েছিলেন তা হলো, যে জিনিস নিয়ে বাদী-বিবাদীর মাঝে মতবিরোধ দেখা যাবে তা দু’ভাগ করে দু’জনকে দিয়ে দিতে হবে।
ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর কথাটি ব্যখ্যা করলে এরূপ দাঁড়ায় যে, জন্তুটিকে দু’ভাগ করতে হবে এবং তা দু’জনের মাঝে বণ্টন করতে হবে। এটা সর্বদা সম্ভব নাও হতে পারে, এজন্য জন্তুটি বিক্রয় করে তার মূল্য দু’জনকে দেয়া যেতে পারে। অথবা ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর কথাটিকে এভাবে নেয়া যেতে পারে যে, যা কিছু দু’ভাগ করার পর্যায়ভুক্ত তাতে যদি দু’জন দাবীদার থাকে তাহলে ভাগ করে দু’জনকে দিয়ে দিতে হবে।
এ হাদীস থেকে আরো বুঝা যায় যে, যার হাতে জন্তুটি থাকবে তার প্রমাণকে অন্যের তুলনায় প্রাধান্য দিতে হবে এবং এটাই সাধারণ নিয়ম। শারহুস্ সুন্নাহ্-তে বলা হয়েছে, ‘উলামায়ে কিরাম বলেন, যখন দু’জন ব্যক্তি একটি বিষয়ের দাবীদার হবে আর দু’জনেরই প্রমাণ থাকবে যার জন্য তারা বিচার দায়ের করেছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)