৩৭৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিচারকদের (সহকর্মীদের) বেতন ও হাদিয়া গ্রহণ করা

৩৭৫৬-[১২] ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট সংবাদ পাঠালেন যে, (সফরের উদ্দেশে) তুমি তোমার যুদ্ধাস্ত্র ও প্রয়োজনীয় বস্ত্রাদি নিয়ে আমার নিকট চলে আসো। তিনি বলেনঃ অতএব আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হলাম, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উযূ করছিলেন। আমাকে দেখে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে ’আমর! আমি তোমাকে এজন্য ডেকে এনেছি যে, তোমাকে (গভর্নর বা শাসকরূপে) এক অঞ্চলে পাঠাব। আল্লাহ তা’আলা তোমাকে নিরাপত্তায় রাখুন এবং গনীমাতের ধন-সম্পদও দান করুন। আর আমিও তোমাকে কিছু মাল দিবো। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম : হে আল্লাহর রসূল! ধন-সম্পদের লোভে আমার হিজরত ছিল না; বরং আমার হিজরত ছিল আল্লাহ ও তাঁর রসূল-এর সন্তুষ্টি কামনায়। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ সৎলোকের জন্য পবিত্র মাল কতই না উত্তম। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

আর আহমাদও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং তাঁর অপর বর্ণনাতে আছে, সৎলোকের জন্য ভালো মালই উত্তম জিনিস।

وَعَن عَمْرِو بن العاصِ قَالَ: أَرْسَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنِ اجْمَعْ عَلَيْكَ سِلَاحَكَ وَثِيَابَكَ ثُمَّ ائْتِنِي» قَالَ: فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ فَقَالَ: «يَا عَمْرُو إِنِّي أَرْسَلْتُ إِلَيْكَ لِأَبْعَثَكَ فِي وُجْةٍ يُسَلِّمُكَ اللَّهُ وَيُغَنِّمُكَ وَأَزْعَبَ لَكَ زَعْبَةً مِنَ الْمَالِ» . فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كَانَتْ هِجْرَتِي لِلْمَالِ وَمَا كَانَتْ إِلَّا لِلَّهِ ولرسولِه قَالَ: «نِعِمَّا بِالْمَالِ الصَّالِحِ لِلرَّجُلِ الصَّالِحِ» . رَوَاهُ فِي «شَرْحِ السُّنَّةِ» وَرَوَى أَحْمَدُ نَحْوَهُ وَفِي روايتِه: قَالَ: «نِعْمَ المالُ الصَّالحُ للرَّجُلِ الصالحِ»

وعن عمرو بن العاص قال: ارسل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان اجمع عليك سلاحك وثيابك ثم اىتني» قال: فاتيته وهو يتوضا فقال: «يا عمرو اني ارسلت اليك لابعثك في وجة يسلمك الله ويغنمك وازعب لك زعبة من المال» . فقلت: يا رسول الله ما كانت هجرتي للمال وما كانت الا لله ولرسوله قال: «نعما بالمال الصالح للرجل الصالح» . رواه في «شرح السنة» وروى احمد نحوه وفي روايته: قال: «نعم المال الصالح للرجل الصالح»

ব্যাখ্যা: ‘আমর বিন ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত এ হাদীসটি থেকে আমরা যা শিখতে পারি-

(ক) নেতার প্রতি আনুগত্য।

(খ) অযূরত অবস্থায় দীনী কথাবার্তা বলা জায়িয।

(গ) নেতা তার অধিনস্থদেরকে কল্যাণের প্রতি আহবান করবে।

(ঘ) ধন-সম্পদের ক্ষেত্রে বিশেষ নাসীহাত প্রয়োজন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনুল আস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء)