পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিচারকদের (সহকর্মীদের) বেতন ও হাদিয়া গ্রহণ করা
৩৭৪৭-[৩] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ)-কে খলীফাহ্ নিযুক্ত করা হলে তিনি বললেনঃ আমার গোত্রের লোকেরা ভালোভাবে জানে যে, আমার ব্যবসা-বাণিজ্য আমার পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার বহনে অক্ষম ছিল না। কিন্তু এখন আমি মুসলিমদের কাজে নিযুক্ত হয়েছি। সুতরাং আবূ বকর (রাঃ)-এর পরিবার-পরিজন এখন থেকে এ মাল (বায়তুল মাল বা সরকারী কোষাগার) থেকে খরচ মিটাবে। আর সে মুসলিমদের জন্য কাজ করে যাবে। (বুখারী)[1]
بَابُ رِزْقِ الْوُلَاةِ وَهَدَايَاهُمْ
وَعَن عائشةَ قَالَتْ: لِمَّا اسْتُخْلِفَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: لَقَدْ عَلِمَ قَوْمِي أَنَّ حِرْفَتِي لم تكنْ تعجِزُ عَن مَؤونةِ أَهْلِي وَشُغِلْتُ بِأَمْرِ الْمُسْلِمِينَ فَسَيَأْكُلُ آلُ أَبِي بَكْرٍ مِنْ هَذَا الْمَالِ وَيَحْتَرِفُ لِلْمُسْلِمِينَ فِيهِ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসটিতে আবূ বাকর -এর খিলাফাত লাভের পর রাষ্ট্রের বায়তুল মাল তথা রাষ্ট্রীয় সম্পদের সাথে তার ব্যবহার কেমন ছিল তারই আলোচনা করা হয়েছে। বায়তুল মাল থেকে পরিবার-পরিজনের জন্য অর্থগ্রহণ তিনি অপছন্দ করতেন। ‘আমার গোত্র’ দ্বারা তিনি উদ্দেশ্য করেছেন কুরায়শকে অথবা সমগ্র মুসলিমকে।
কাযী ‘ইয়ায (রহঃ) বলেনঃ আলু আবূ বাকর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তাঁর পরিবার-পরিজন। কেউ বলেছেন তিনি নিজেই। ‘আল্লামা তূরিবিশতী (রহঃ) বলেনঃ আবূ বাকর নিজের জন্য বায়তুল মাল থেকে সামান্য খাদ্য, গ্রীষ্মকালে একটি লুঙ্গি ও চাদর, শীতকালে একটি জুববা আর চলাচলের জন্য একটি বাহন গ্রহণ করেছিলেন।
আল মুযহির বলেনঃ অত্র হাদীস থেকে বুঝা যায়, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের জন্য বৈধ আছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ন্যায়সঙ্গতভাবে তাদের ভরণ-পোষণ গ্রহণ করা, তবে এক্ষেত্রে যাতে বাড়াবাড়ি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী।
অত্র হাদীসটির মূল মর্মবাণী হলো দায়িত্ব পেয়ে কেউ যেন জনগণের সম্পদ নিয়ে খেল-তামাশা না করে। অন্যায়ভাবে তাদের মাল-সম্পদ যেন লুটে না নেয়। (ফাতহুল বারী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২০৭০; মিরকাতুল মাফাতীহ)