৩৭২৪

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - জনগণের প্রতি শাসকের সহনশীলতা প্রদর্শন করা

৩৭২৪-[৩] ইবনু আবূ বুরদাহ্ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদিন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দাদা আবূ মূসা ও মু’আয (রাঃ)-কে ইয়ামানে পাঠালেন এবং অতঃপর বললেনঃ তোমরা মানুষের জন্য সহজসাধ্য কাজ করবে, কঠিন ও কষ্টদায়ক কাজ চাপিয়ে দিও না। তাদেরকে সুসংবাদ দাও, হতাশা ও নৈরাশ্যজনক কথা তাদেরকে শুনাও না। পরস্পর ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করবে, মতানৈক্য করবে না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ مَا عَلَى الْوُلَاةِ مِنَ التَّيْسِيْرِ

وَعَن ابنِ أَبِي بُرْدَةَ قَالَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَدَّهُ أَبَا مُوسَى وَمُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ: «يَسِّرَا وَلَا تُعَسِّرَا وَبَشِّرَا وَلَا تُنَفِّرَا وَتَطَاوَعَا وَلَا تَخْتَلِفَا»

وعن ابن ابي بردة قال: بعث النبي صلى الله عليه وسلم جده ابا موسى ومعاذا الى اليمن فقال: «يسرا ولا تعسرا وبشرا ولا تنفرا وتطاوعا ولا تختلفا»

ব্যাখ্যা: (قَالَ : بَعَثَ النَّبِىُّ ﷺ جَدَّه أَبَا مُوسٰى وَمُعَاذًا) লেখকের বাহ্যিক বাচনভঙ্গি থেকে মনে হচ্ছে যে, আবূ মূসা আবূ বুরদার দাদা কিন্তু বিষয়টি তা নয় বরং আবূ মূসা হলেন তার পিতা। সুতরাং সঠিক হলো এভাবে বলা ‘আব্দুল্লাহ বিন আবূ বুরদাহ্ তিনি তার পিতা থেকে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দাদা আবূ মূসাকে পাঠালেন এভাবেই ইমাম বুখারী-মুসলিম বিন ইবরাহীম থেকে বর্ণনা করেছেন। কোনো এক নুসখাতে ইবনু আবূ বুরদাহ্ থেকে বর্ণনা করেছেন বলে পাওয়া যায় এটাতে কোনো সমস্যা নেই এমনটাই কতকের মত উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে কেউ কেউ বলেন, বুখারীর বর্ণনা মতে ইবনু আবূ বুরদাহ্ বলেন, আমি আমার আব্বাকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার আববা ও মু‘আয বিন জাবাল -কে পাঠালেন ইয়ামান দেশে। কেউ কেউ ‘‘জামিউল উসূল’’ নামক কিতাব থেকে বর্ণনা করেন বিলাল বিন আবূ বুরদাহ্ বিন মূসা আল আশ্‘আরী -কে বাসরার শাসনকর্তা বানানো হয়েছিল, তিনি তার পিতা ও অন্যান্যদের নিকট থেকে শুনেছেন। তার থেকে কাতাদাহ এবং একদল বড় ‘আলিম হাদীস বর্ণনা করেছেন।

(وَلَا تَخْتَلِفَا) অর্থাৎ যে কোনো বিষয়ে তোমরা পরস্পর মতবিরোধ করবে না। কেননা তোমরা দু’জনে যদি মতবিরোধে লিপ্ত হও তাহলে তোমাদের দেখাদেখি তোমাদের অধিনস্থরাও মতবিরোধ করবে। আর তখনই পরস্পর শত্রুতা, যুদ্ধ ইত্যাদি সংগঠিত হবে।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ উপরের তিনটি হাদীস পরস্পর সমার্থক, তাই একনিষ্ঠ ইসলামের কোনো ব্যাপারে কঠোর চাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়।

মহান আল্লাহ বলেছেনঃ ‘‘আল্লাহ তোমাদের দীনের ব্যাপারে কষ্টারোপ করেননি’’- (সূরা আল হজ্জ/হজ ২২ : ৭৮)। অর্থাৎ আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে সহজ করে দিয়েছেন। সুতরাং এখান থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে, ইসলামী শারী‘আহ্ সহজ কঠিন নয়। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৬১২৪; শারহে মুসলিম ১২শ খন্ড, হাঃ ১৭৩৩; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء)