পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদের বর্ণনা ও মধ্যপায়ীকে ভীতিপ্রদর্শন করা
৩৬৩৫-[২] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন ’উমার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মিম্বারের উপর (দাঁড়িয়ে) খুৎবা প্রদানকালে বললেনঃ নিশ্চয় মদ হারাম সাব্যস্ত (নাযিল) হয়েছে। আর তা সাধারণত পাঁচ প্রকারের জিনিস দ্বারা প্রস্তুত হয়; যথা- আঙ্গুর, খেজুর, গম, যব ও মধু। আর মদ তা-ই যা জ্ঞান-বুদ্ধিকে বিলুপ্ত করে দেয়। (বুখারী)[1]
بَابُ بَيَانِ الْخَمْرِ وَوَعِيْدِ شَارِبِهَا
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: خطَبَ عمرُ رَضِي الله عَنهُ عَلَى مِنْبَرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّهُ قَدْ نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ وَهِيَ مِنْ خَمْسَةِ أَشْيَاءَ: الْعِنَبِ وَالتَّمْرِ وَالْحِنْطَةِ والشعيرِ والعسلِ وَالْخمر مَا خامر الْعقل . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: (نَزَلَ تَحْرِيْمُ الْخَمْرِ وَهِىَ مِنْ خَمْسَةِ) উদ্দেশ্য হলো বস্তুতঃ ঐ পাঁচ প্রকার জিনিস থেকে মদ তৈরি হয়, তবে এ পাঁচ প্রকার জিনিস থেকেই যে মদ তৈরি হয় এমনটি খাস না।
‘উমার মিম্বারে ভাষণ দিয়েছেন যা সাহাবীদের সামনে কেউ বিষয়টিকে অস্বীকার করেননি। তিনি সূরা আল মায়িদার আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন, ‘‘হে মু’মিনগণ! এই যে, মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য নির্ধারক শরসমূহ- এসব শায়ত্বনের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব এগুলো থেকে বেঁচে থাক যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।’’ (সূরা আল মায়িদাহ্ ৫ : ৯০)
‘উমার ইচ্ছা পোষণ করেন : সতর্কতার যে এ আয়াত থেকে মদ শুধু আঙ্গুরের মাধ্যমে নয় বরং অন্যান্য থেকেও প্রস্তুত হয়। আর আনাস -এরও হাদীস সমর্থন করে।
সুনানে ‘আরবাতে এসেছে, নু‘মান বিন বাশীর বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি, তিনি বলেনঃ
إِنَّ الْخَمْرَ مِنَ الْعَصِيرِ وَالزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ وَالْحِنْطَةِ وَالشَّعِيرِ وَالذُّرَةِ وَإِنِّي أَنْهَاكُمْ عَنْ كُلِّ مُسْكِرٍ
নিশ্চয় মদ রস থেকে, কিসমিস, খেজুর, গম, যব এবং বীজ থেকে আর আমি তোমাদেরকে নিষেধ করছি প্রত্যেক নেশাদ্রব্য জিনিস থেকে। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৫৮৮)