৩৬০৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চোরের হাত কাটা প্রসঙ্গ

৩৬০৩-[১৪] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক চোরকে ধরে আনা হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নির্দেশ করলেন, তার (ডান) হাত কেটে দাও। সুতরাং তার হাত কেটে ফেলা হলো। পরে পুনরায় চুরির দায়ে তাকে দ্বিতীয়বার আনা হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তার (বাম) পা কেটে দাও। সুতরাং তার পা কেটে ফেলা হলো। এরপর পুনরায় তৃতীয়বার তাকে চুরির অপরাধে আনা হলো। এবার তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নির্দেশ দিলেন, তার (বাম) হাত কেটে দাও। সুতরাং তার হাত কেটে ফেলা হলো। পরে চতুর্থবার তাকে চুরির অপরাধে আনা হলো। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নির্দেশ দিলেন, তার (ডান) পাও কেটে দাও। সুতরাং তার পাও কেটে ফেলা হলো। তারপর পঞ্চমবার তাকে চুরির অপরাধে উপস্থিত করা হলো। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবার তাকে হত্যার হুকুম দিলেন। সুতরাং আমরা তাকে টেনে নিয়ে এসে একটি কূপের মধ্যে ফেলে দিলাম এবং তার ওপর পাথর নিক্ষেপ করলাম। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: جِيءَ بِسَارِقٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اقْطَعُوهُ» فَقُطِعَ ثُمَّ جِيءَ بِهِ الثَّانِيَةَ فَقَالَ: «اقْطَعُوهُ» فَقُطِعَ ثُمَّ جِيءَ بِهِ الثَّالِثَةَ فَقَالَ: «اقْطَعُوهُ» فَقُطِعَ ثُمَّ جِيءَ بِهِ الرَّابِعَةَ فَقَالَ: «اقْطَعُوهُ» فَقُطِعَ فَأُتِيَ بِهِ الْخَامِسَةَ فَقَالَ: «اقْتُلُوهُ» فَانْطَلَقْنَا بِهِ فَقَتَلْنَاهُ ثُمَّ اجْتَرَرْنَاهُ فَأَلْقَيْنَاهُ فِي بِئْرٍ وَرَمَيْنَا عَلَيْهِ الحجارةَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

وعن جابر قال: جيء بسارق الى النبي صلى الله عليه وسلم قال: «اقطعوه» فقطع ثم جيء به الثانية فقال: «اقطعوه» فقطع ثم جيء به الثالثة فقال: «اقطعوه» فقطع ثم جيء به الرابعة فقال: «اقطعوه» فقطع فاتي به الخامسة فقال: «اقتلوه» فانطلقنا به فقتلناه ثم اجتررناه فالقيناه في بىر ورمينا عليه الحجارة. رواه ابو داود والنساىي

ব্যাখ্যা: কতক ‘আলিম বলেন, হাদীস যদি সহীহ হয় এটা মানসূখ বা রহিত। لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِإِحْدٰى ثَلَاثٍ কোনো মুসলিমের রক্ত হালাল না তবে তিনটির যে কোনো একটি পাওয়া গেলে বৈধ। কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করলে, বিবাহিত পুরুষ বা স্ত্রী যিনা করলে, আর মুরতাদ হলে। এ হাদীস দ্বারা আর সিরাজিয়্যাহ্-তে রয়েছে, শাসকের জন্য রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গীতে হত্যা করা বৈধ।

ইমাম খত্ত্বাবী বলেনঃ চোর যত বারই চুরি করুক না কেন কিন্তু কোনো ইমাম বা ফাকীহের মতে তাকে হত্যা করা জায়িয নেই। অতএব, বর্ণিত হাদীসে কতল করার নির্দেশ এজন্য দেয়া হয়নি যে, সে চোর- চুরি করেছে, বরং সে দেশে বিশৃঙ্খলা এবং সমাজের মধ্যে ফাসাদ ও অশান্তি সৃষ্টি করেছে। সুতরাং শাসক একজন দুস্কৃতিকারীর জন্য দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তি কার্যকর করতে পারেন।

আমরা তাকে নিয়ে গেলাম এবং তাকে হত্যা করলাম। অতঃপর তাকে টেনে এনে একটি কূপের মধ্যে ফেলে দিলাম। ত্বীবী বলেনঃ এটা প্রমাণ করে তার হত্যাটি ছিল লাঞ্ছনা ও অপমানকর। অথচ কোনো মুসলিমের সাথে এ ধরনের আচরণ সমীচীন নয় যদিও কবীরা গুনাহ করে, কেননা সে সালাত আদায় করে আর বিশেষ করে শাস্তি প্রয়োগ ও পবিত্রতার পর সম্ভবত তার সাথে এ আচরণের কারণ হলো যে, মুরতাদ হয়েছিল আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুরতাদ হওয়ার বিষয়টি জেনেছিলেন যেমনটি ‘উরায়নাহ্ গোত্রের ক্ষেত্রে জেনেছিলেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود)