৩৫৯৫

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চোরের হাত কাটা প্রসঙ্গ

৩৫৯৫-[৬] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্দুর রহমান ইবনু আবূ হুসায়ন আল মাক্কী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গাছে দৃশ্যমান ফল এবং পাহাড়ে বিচরণশীল জন্তু-জানোয়ার চুরির অপরাধে হাত কাটা যাবে না। তবে কেউ যদি পাহাড়ে বিচরণশীল জন্তু-জানোয়ার স্বীয় আশ্রয়স্থলে হয় এবং ফল খলায় স্তূপকৃত হয় তাহলে সেখান থেকে চুরির অপরাধে হাত কাটা হবে, যদি চুরির মাল ঢালের মূল্যের সমান হয়। (মালিক)[1]

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ الْمَكِّيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ معلَّقٍ وَلَا فِي حَرِيسَةِ جَبَلٍ فَإِذَا آوَاهُ الْمُرَاحُ وَالْجَرِينُ فَالْقَطْعُ قيمًا بلغ ثمن الْمِجَن» . رَوَاهُ مَالك

وعن عبد الله بن عبد الرحمن بن ابي حسين المكي ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «لا قطع في ثمر معلق ولا في حريسة جبل فاذا اواه المراح والجرين فالقطع قيما بلغ ثمن المجن» . رواه مالك

ব্যাখ্যা: ত্বীবী বলেনঃ حَرِيسَةِ দ্বারা উদ্দেশ্য পাহাড়ে সংরক্ষিত এমন বিচরণশীল প্রাণী যা পাহাড়ে চড়ে এবং তার রাখাল রয়েছে। কারো মতে রাতে চুরিকৃত ছাগল আর পাহাড়ের দিকে সম্বোধন করা উদ্দেশ্য, কেননা চোর তা চুরি করে পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে যায় যাতে চূড়ান্তভাবে সংরক্ষিত হতে পারে।

আর হাদীসে রয়েছে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল : পাহাড়ে বিচরণশীল জানোয়ার সম্পর্কে। জবাবে বলেছেনঃ অনুরূপ জরিমানা লাগবে। ইবনু হুমাম বলেছেনঃ যদি চুরি করা হয় রেলগাড়ী থেকে উট বা অন্য কোনো মালামাল তাহলে হাত কাটা যাবে না, কেননা তা দ্বারা সংরক্ষণ উদ্দেশ্য না। কেননা সংরক্ষণের ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। এই ড্রাইভার চালক ও বহনকারী ব্যক্তিরা তাদের উদ্দেশ্য হলো গন্তব্যস্থনে পৌঁছানো। সংরক্ষণের জন্য না, যদিও বহনের সময় পাহাদার থাকে। আবার কেউ বলেন হাত কাটা হবে কারণ মালামাল বস্থাতে ভরে রাখা সংরক্ষণের মতই। আর তিন ইমামের নিকট হাত কাটা হবে, কেননা ড্রাইভার চালক বহনকারী ব্যক্তিরা পাহাদারের মতো। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৭: দণ্ডবিধি (كتاب الحدود)