পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৪১৫-[১০] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমার কসম তখন অর্থবহ হবে, যখন তোমার সঙ্গী-সাথী তোমাকে (কসমের) সত্যায়িত করবে। (মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَمِينُكَ عَلَى مَا يُصَدِّقُكَ عَلَيْهِ صَاحبك» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: হাদীসটি প্রমাণ বহন করে, কসমের উপর কাযীর বিচারকের কসম তলব করা। যখন কোন ব্যক্তি অপর ব্যক্তির বিরুদ্ধে সত্য কিছু দাবী করে বিচারক তাকে কসম খাওয়াবে, আর সে কসম খেল ও গোপন করল। এক্ষেত্রে বিচারক যা চেয়েছেন বিচারকের চাহিদানুযায়ী কসম সাব্যস্ত হবে আর কসমকারীর তাওরিয়্যাহ্ (গোপনীয় উদ্দেশ্য) সাব্যস্ত হবে না, অর্থাৎ সে শপথ ভঙ্গকারী হিসেবে গণ্য হবে। এর উপর সবই ঐকমত্য আর হাদীসটি তাই প্রমাণ করে।
তবে বিচারকের শপথের চাহিদার নির্দেশ ব্যতিরেকে যদি কোনো ব্যক্তি শপথ করে এবং শপথের মূল বিষয় গোপন করে তবে তার গোপনকৃত ধারণা কাজে আসবে এবং সে শপথ ভঙ্গকারী হিসেবে গণ্য হবে না। চাই কারও কর্তৃক প্রথমেই শপথের প্রতি আদিষ্ট হোক বা বিচারক ব্যতিরেকে কেউ অথবা তার স্থলাভিষিক্ত ভিন্ন অন্য কেউ শপথের আদেশ দিলে উভয়ই একই বিষয় হিসেবে গণ্য হবে। বিচারক ব্যতিরেকে অন্য কারও দ্বারা শপথের আদিষ্ট হলে শপথ কাঙিক্ষত ব্যক্তি শপথ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। মোটকথা সর্বক্ষেত্রে শপথকারীর শপথ তার নিয়্যাতানুযায়ী প্রযোজ্য হবে। তবে বিচারক কিংবা তার স্থলাভিষিক্ত যদি দাবীর ক্ষেত্রে শপথ কামনা করে তবে শপথ কামনাকারীর নিয়্যাতই প্রযোজ্য হবে, এটাই হাদীসের উদ্দেশ্য। (শারহে মুসলিম ১১শ খন্ড, হাঃ ১৬৫৩)