৩২৬৮

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত

৩২৬৮-[৩১] ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বামী স্বীয় স্ত্রীকে (প্রয়োজনসাপেক্ষে) প্রহার করলে (কিয়ামত দিবসে) জিজ্ঞাসিত হবে না। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يُسْأَلُ الرَّجُلُ فِيمَا ضَرَبَ امْرَأَتَهُ عَلَيْهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه

وعن عمر رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «لا يسال الرجل فيما ضرب امراته عليه» . رواه ابو داود وابن ماجه

ব্যাখ্যা: স্ত্রীকে প্রহার করার বৈধতা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ পূর্বের হাদীসে অতিবাহিত হয়েছে। পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে ইসলামী সীমারেখার মধ্য থেকে প্রয়োজনে স্ত্রীকে সামান্য প্রহার করার বৈধতা বিদ্যমান রয়েছে। স্ত্রীকে দীন ও আদব শিক্ষা দেয়ার জন্য, শারী‘আতের বিধান লঙ্ঘনের কারণে প্রহার করা বৈধ। তবে এই প্রহারের অবশ্যই মুখমণ্ডল ও স্পর্শকাতর কোনো অঙ্গে প্রহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অমানুষিক নির্যাতন করা যাবে না, অঙ্গহানি ঘটে এমন প্রহার করা চলবে না। এ জাতীয় শত স্ত্রীকে প্রহারের জন্য কিয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে স্বামীকে জওয়াবদিহী করতে হবে না। এ ধরনের হালকা প্রহারের দরুন দুনিয়ার আদালতেও তার বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থনা করা যাবে না।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ অত্র হাদীসের মধ্যে উল্লেখিত عَلَيْهِ শব্দের «ه» সর্বনামটি পূর্বে উল্লেখিত «مَا» এর দিকে ফিরেছে, এটা النُّشُوزِ এর অর্থ বহনকারী যা কুরআনে উল্লেখ হয়েছে যেমন: وَاللَّاتِىْ تَخَافُونَ نُشُوْزَهُنَّ ‘‘আর যাদের অবাধ্যতার আশংকা করো’’- (সূরা আন্ নিসা ৪ : ৩৪)। এই نُشُوزِ বা অবাধ্যতার কারণে তাদের নাসীহাত করতে হবে, তাতে সংশোধন না হলে তাদের বিছানা ত্যাগ করতে হবে এতেও সংশোধন না হলে, বলা হয়েছে: وَاضْرِبُوهُنَّ আর তাদের প্রহার করো।’ [এ প্রহার কি পরিমাণ হবে পূর্বে তা অতিবাহিত হয়েছে] (সম্পাদক)

সুতরাং স্ত্রীর মধ্যে نُشُوزِ বা অবাধ্যচারিতা পাওয়া গেলে স্বামী তার সংশোধনের চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রহার করতে পারবেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)