পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - ভাগ-বণ্টন (সহধর্মিণীদের মধ্যে পালা নিরূপণ প্রসঙ্গে)
الْقَسْمِ শব্দটির ’কফ’ বর্ণে যবর এবং ’সীন’ বর্ণে সাকীন যোগে মাসদার বা শব্দমূল হিসেবে পঠিত হয়। অর্থ ভাগ-বণ্টনে করা শরীক বা অংশীদারদের মাঝে প্রাপ্য অংশ বণ্টন করে দেয়া। অনুরূপ স্ত্রীদের মাঝে পালি বণ্টন করা, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো স্ত্রীদের নিকট (পালাক্রমিক) রাত যাপন করা। ইবনুল হুমাম (রহঃ) বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো স্ত্রীর মাঝে সমতা বিধান করা, একেই নামকরণ করা হয়েছে ’স্ত্রীদের মাঝে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা’। এই ন্যায়বিচার আবশ্যক হওয়ার বিষয়টি রাতের পালার ক্ষেত্রেই বিশেষভাবে প্রযোজ্য। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
৩২২৯-[১] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তেকালের সময় নয়জন সহধর্মিণী ছিল। তন্মধ্যে (বিবি সাওদাহ্ (রাঃ) ব্যতীত) আটজনের জন্য পালা বণ্টন করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْقَسْمِ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ عَنْ تِسْعِ نِسْوَةٍ وَكَانَ يقسم مِنْهُنَّ لثمان
ব্যাখ্যা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নয়জন স্ত্রীকে রেখে মৃত্যুবরণ করেন, তারা হলেন- ‘আয়িশাহ, হাফসাহ্, সাওদাহ্, উম্মু সালামাহ্, সফিয়্যাহ্, মায়মূনাহ্, উম্মু হাবীবাহ্, যায়নাব এবং জুওয়াইরিয়াহ্ (রাঃ)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদের আটজনের মধ্যে পালাক্রমে রাত যাপন করতেন। নবম স্ত্রী সাওদাহ্ (রাঃ) বৃদ্ধা হয়ে পড়লে তার অংশ বা পালা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে হেবা করে দেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর স্ত্রীদের সকলের নিকট গমন করতেন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে তার পালা শেষ হতো। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫০৬৭; শারহে মুসলিম ৯/১০ম খন্ড, হাঃ ১৪৬৫; মিরকাতুল মাফাতীহ)