পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম
৩১৭৬-[১৭] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, গয়লান ইবনু সালামাহ্ আস্ সাকাফী (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তাঁর সাথে জাহিলিয়্যাত যুগে বিবাহিতা ১০ জন স্ত্রীও মুসলিম হলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, তুমি চারজন স্ত্রীকে রেখে বাকি সবাইকে ছেড়ে (পৃথক করে) দাও। (আহমাদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ غيلَان بن سَلمَة الثَّقَفِيَّ أَسْلَمَ وَلَهُ عَشْرُ نِسْوَةٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَأَسْلَمْنَ مَعَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمْسِكْ أَرْبَعًا وَفَارِقْ سَائِرَهُنَّ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: ইমাম মুহাম্মাদ (রহঃ) তার মুয়াত্ত্বাতে উল্লেখ করেছেন, এ হাদীস থেকে এটাই গ্রহণ করতে পারি যে, তাদের মধ্যে যে কোনো চারজন স্ত্রী গ্রহণ করে অবশিষ্ট একজনকে আলাদা করে দেয়া যাবে। অন্যদিকে ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) বলেছেনঃ প্রথম চারজন স্ত্রীকে গ্রহণ করতে হবে আর অবশিষ্ট সকল স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে। ইব্রাহীম নাখ‘ঈ (রহঃ) অনুরূপ কথা বলেছেন। ইবনুল হুমাম (রহঃ)-এর মতে ইমাম মুহাম্মাদের কথাই অগ্রগণ্য। আর হিদায়াহ্ গ্রন্থে রয়েছে এর বেশী (চারটির বেশী) বিবাহ করা বৈধ নয়। ইবনুল হুমাম (রহঃ) বলেনঃ এর উপর চার ইমাম সহ সকল মুসলিমের ঐকমত্য রয়েছে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৩য় খন্ড, হাঃ ১১২৮; মিরকাতুল মাফাতীহ)