৩০৫৪

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফারায়িয (মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন সম্বন্ধীয়) ও অন্তিম উপদেশ বা আদেশ)

৩০৫৪-[১৪] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোনো ব্যক্তি স্বাধীনা নারী অথবা দাসীর সাথে যিনা করেছে, সে সন্তান হবে যিনার সন্তান। সে যিনাকারীর ওয়ারিস হবে না এবং মাওরূসী (উত্তরাধিকারসূত্রে ভোগদখলকৃত)-ও হবে না। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَيُّمَا رَجُلٍ عَاهَرَ بِحُرَّةٍ أَوْ أَمَةٍ فَالْوَلَد ولد زنى لَا يَرث وَلَا يُورث» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

وعن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده: ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: «ايما رجل عاهر بحرة او امة فالولد ولد زنى لا يرث ولا يورث» . رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন যে, যদি ব্যভিচারী কোনো পুরুষ কোনো স্বাধীনা নারী অথবা কোনো দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় এবং উক্ত ব্যভিচারের ফলে মহিলার গর্ভে সন্তান ধারণ হয়; তাহলে ঐ সন্তান তার মায়ের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত পুরুষ থেকে অথবা তার নিকটতম ব্যক্তি থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে কোনো সম্পদ লাভ করবে না। আর ঐ ব্যভিচারী পুরুষও উক্ত সন্তান থেকে কোনো সম্পদ উত্তরাধিকারী সূত্রে লাভ করবে না। কেননা নসব বা বংশ সাব্যস্ত হলেই কেবল উত্তরাধিকারী সাব্যস্ত হয় অন্যথায় নয়। আর যিনা বা ব্যভিচারের মাধ্যমে বংশ সাব্যস্ত হয় না। (তুহফাতুল আওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২১১৩; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)