পরিচ্ছেদঃ ১৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - ফারায়িয (মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন সম্বন্ধীয়) ও অন্তিম উপদেশ বা আদেশ)
৩০৪৫-[৫] উক্ত রাবী [আনাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গোত্রের ভাগিনেও গোত্রেরই একজন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস ’নিশ্চয় মুক্ত ক্রীতদাসের পরিত্যাজ্য’ অধ্যায়টি ’আগাম বিক্রয়’ অধ্যায়ের পূর্বের অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে। আর বারা (রাঃ)-এর বর্ণিত ’খালা মায়ের মতো’ হাদীসটি ইনশা-আল্লা-হ বর্ণনা করব ’নাবালেগ বালেগ হওয়া ও তার প্রতিপালন’ অধ্যায়ে।
بَابُ الْفَرَائِضِ وَالْوَصَايَا
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ابْنُ أُخْتِ الْقَوْمِ مِنْهُم»
وَذُكِرَ حَدِيثُ عَائِشَةَ: «إِنَّمَا الْوَلَاءُ» فِي بَابٍ قبل «بَاب السّلم»
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন- কোনো কওমের বোনের পুত্র সে কওমেরই অন্তর্ভুক্ত। তথা বোনের পুত্র মৃত ব্যক্তির রক্ত সম্পর্কীয় ওয়ারিস। তারা কখনো সম্পদ পাবে না যদি মৃত ব্যক্তির যাবিল ফুরুজ বা নির্ধারিত অংশপ্রাপ্ত ওয়ারিস এবং আসাবা বিদ্যমান থাকে। কেননা যাবিল আরহাম মৃত ব্যক্তির তৃতীয় স্তরের ওয়ারিস। যাবিল আরহাম বা রক্ত সম্পর্কীয় ওয়ারিসদের ধারাবাহিক নাম নিম্নরূপ-
১. কন্যার সন্তান। ২. বোনের সন্তান, ৩. ভাতিজা, ৪. চাচাতো বোন, ৫. ফুফাতো বোন, ৬. মামাতো বোন, ৭. খালাতো বোন, ৮. নানা, ৯. বৈ।
উল্লেখিত যাবিল আরহামগণ মৃত ব্যক্তির তৃতীয় স্তরের ওয়ারিস হওয়ার কারণে যাবিল ফুরুজ ও আসাবাদের উপস্থিতিতে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে মীরাস পাবে না। (ফাতহুল বারী ১২শ খন্ড, হাঃ ৬৭৬২; শারহে মুসলিম ৭/৮ খন্ড, হাঃ ১০৫৯; মিরকতুল মাফাতীহ)