২৯৯১

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা

২৯৯১-[১] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক মালিকবিহীন এমন কোনো জমিন আবাদ করে, সে-ই তার প্রকৃত হকদার। ’উরওয়াহ্ (রহঃ) বলেন, ’উমার (রাঃ)-ও তাঁর খিলাফাতকালে এ আদেশ করেছিলেন। (বুখারী)[1]

بَابُ إِحْيَاءِ الْمَوَاتِ وَالشِّرِبِ

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ عَمَرَ أَرْضًا لَيْسَتْ لِأَحَدٍ فَهُوَ أَحَقُّ» . قَالَ عُرْوَةُ: قَضَى بِهِ عُمَرُ فِي خِلَافَتِهِ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ

عن عاىشة رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من عمر ارضا ليست لاحد فهو احق» . قال عروة: قضى به عمر في خلافته. رواه البخاري

ব্যাখ্যা: (فَهُوَ أَحَقُّ) ইসমা‘ঈলী একটু বেশী বর্ণনা করেছেন, (فَهُوَ أَحَقُّ بها) সে ঐ জমির ব্যাপারে অন্য অপেক্ষা বেশী হকদার।

(قَضٰى بِه عُمَرُ فِىْ خِلَافَتِه) মুহাম্মাদ বিন ‘উবায়দুল্লাহ আসসাকাফী-এর সানাদে ‘উমার (রাঃ) পর্যন্ত সানাদ পরম্পরা সূত্রে পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে, যা «خراج» অধ্যায়ে আছে। মুহাম্মাদ বিন ‘উবায়দুল্লাহ আস্ সাকাফী বলেনঃ ‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) পত্র লিখলেন, যে ব্যক্তি কোনো মৃত ভূখণ্ডকে জীবিত করবে সে ঐ ব্যাপারে সর্বাধিক হকদার। অন্য একটি সূত্রে বর্ণনা করা হয়েছে, ‘আমর বিন শু‘আয়ব অথবা অন্য কারো থেকে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ‘উমার (রাঃ) বললেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি কোনো জমিনকে তিন বছর অকেজো ফেলে রাখবে তাকে আবাদ করবে না, অতঃপর অন্য কেউ এসে তা আবাদ করবে, তখন সে জমিন আবাদকারীর জন্যই সাব্যস্ত হবে।’’

অকেজো করে রাখা দ্বারা যেন তার উদ্দেশ্য সে জমিন পাথরে পরিণত হওয়া, কোনো কিছু নির্মাণ অথবা অন্য কিছু দ্বারা তা রক্ষা না করা। ত্বহাবী প্রথম সানাদটিকে সাকাফী পর্যন্ত উল্লেখিত সানাদে এর অপেক্ষা পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বাসরাবাসীদের অন্তর্ভুক্ত আবূ ‘আব্দুল্লাহ নামক এক ব্যক্তি ‘উমার (রাঃ)-এর কাছে গেল। অতঃপর বলল, বাসরা ভূখণ্ডে একটি জমি আছে তা কোনো মুসলিমের নিকটে না এবং তা ভূমিকর আদায়ের জমিও না। সুতরাং আপনি যদি চান তাহলে তা আমাকে দিতে পারেন, আমি তাতে শাক-সবজি ও যায়তূনের আবাদ করব। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) আবূ মূসা (রাঃ) এর কাছে পত্র লিখল, যদি তা এমন হয়ে থাকে তাহলে তা তাকে দাও। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৩৩৫)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)