২৯১৩

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান

২৯১৩-[১৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযা উপস্থিত করা হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করতেন, তার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা রেখে গেছে কি? যদি বলা হতো, হ্যাঁ, ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা রেখে গেছে, তবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার জানাযার সালাত আদায় করতেন। অন্যথায় মুসলিমদের উদ্দেশে বলতেন, তোমরা তোমাদের সাথীর জানাযার সালাত আদায় করে নাও। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা যখন তাঁকে বিভিন্ন জিহাদে বিজয় দিলেন, তখন বললেন, আমি মু’মিনদের জন্য তাদের নিজের চেয়ে অধিক কল্যাণকামী। এমতাবস্থায় মু’মিনদের মধ্য হতে কেউ ঋণ পরিশোধ না করে মৃত্যুবরণ করলে, তা পরিশোধের দায়িত্ব আমার ওপর বর্তাবে। পক্ষান্তরে মৃত ব্যক্তি ধন-সম্পদ রেখে গেলে তা তার উত্তরাধিকারীগণ পাবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْإفْلَاسِ وَالْاِنْظَارِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُؤْتَى بِالرَّجُلِ الْمُتَوَفَّى عَلَيْهِ الدِّينُ فَيَسْأَلُ: «هَلْ تَرَكَ لِدَيْنِهِ قَضَاءً؟» فَإِنْ حُدِّثَ أَنَّهُ تَرَكَ وَفَاءً صَلَّى وَإِلَّا قَالَ لِلْمُسْلِمِينَ: «صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ» . فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْفُتُوحَ قَامَ فَقَالَ: «أَنَا أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ فَمَنْ تُوفِّيَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ فَتَرَكَ دينا فعلي قَضَاؤُهُ وَمن ترك فَهُوَ لوَرثَته»

وعن ابي هريرة قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يوتى بالرجل المتوفى عليه الدين فيسال: «هل ترك لدينه قضاء؟» فان حدث انه ترك وفاء صلى والا قال للمسلمين: «صلوا على صاحبكم» . فلما فتح الله عليه الفتوح قام فقال: «انا اولى بالمومنين من انفسهم فمن توفي من المومنين فترك دينا فعلي قضاوه ومن ترك فهو لورثته»

ব্যাখ্যা: ‘উলামাগণ বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযার সালাত না আদায় করার কারণ হলো, মানুষদেরকে তাদের জীবদ্দশাতেই ঋণ পরিশোধের উপর উৎসাহিত করা এবং ঋণমুক্ত মৃত্যুবরণ করা। তা না হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জানাযা আদায় হতে বঞ্চিত হবে। তবে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ওপর জানাযা হারাম কিনা- এ ব্যাপারে ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, জানাযার বৈধতা ঋণের জিম্মাদারদের ওপর নির্ভর করবে। অর্থাৎ- যদি ঋণ পরিশোধের জিম্মাদার কেউ থাকে তবে তার জানাযা আদায় করা বৈধ। যেমনটা সহীহ মুসলিমে বর্ণিত রয়েছে। (ফাতহুল বারী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২২৯৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)