পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৬৬-[৩৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’কিলাব’ বংশের কতিপয় লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ষাড়ের পাল বা প্রজননের মজুরির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে তা করতে নিষেধ করলেন। সেই লোকটি তখন বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমরা ষাড়ের পাল দেয়ার বিনিময়ে সৌজন্যমূলক কিছু পেয়ে থাকি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে সৌজন্য গ্রহণের অনুমতি দিলেন। (তিরমিযী)[1]
وَعَنْ أَنَسٍ: أَنَّ رَجُلًا مِنْ كِلَابٍ سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ عَسْبِ الْفَحْلِ فَنَهَاهُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا نُطْرِقُ الْفَحْلَ فَنُكْرَمُ فَرَخَّصَ لَهُ فِي الْكَرَامَةِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: (فَنُكْرَمُ) অর্থাৎ- আমাদেরকে ষাড় গ্রহণকারিণী মাদি প্রাণীর মালিক কোনো শর্ত ছাড়াই হাদিয়া হিসেবে কিছু সম্মানী দিয়ে থাকে, বিনিময়ের ভিত্তিতে নয়। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মর্মে হাদিয়া গ্রহণের অনুমতি দিলেন। আলোচ্য হাদীসে এ মর্মে দলীল রয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি যদি মাদি প্রাণীর ষাড় গ্রহণের পর কোনো শর্ত ছাড়াই ষাড়ের মালিককে কিছু হাদিয়া বা সম্মানী দিয়ে থাকে তবে তা গ্রহণ করা বৈধ। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১২৭৪)