পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৫৫-[২২] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন পেটের বাচ্চার বাচ্চা বিক্রয় করা হতে। এটা জাহিলিয়্যাত তথা অন্ধকার যুগের ক্রয়-বিক্রয় ছিল। উট ক্রয় করতো অনেকে এই শর্তে যে, বিক্রেতার উটনীর পেটে যে বাচ্চা হবে, এ বাচ্চা বড় হলে যে বাচ্চা হবে, তা ক্রয়-বিক্রয় করা হলো। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ الْمَنْهِىِّ عَنْهَا مِنَ الْبُيُوْعِ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَن بَيْعِ حَبَلِ الْحَبَلَةِ وَكَانَ بَيْعًا يَتَبَايَعُهُ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ كَانَ الرَّجُلُ يَبْتَاعُ الْجَزُورَ إِلَى أَنْ تُنتَجَ النَّاقةُ ثمَّ تُنتَجُ الَّتِي فِي بطنِها
ব্যাখ্যা: (بَيْعِ حَبَلِ الْحَبَلَةِ) এর উদ্দেশ্যর ব্যাপারে ‘উলামাগণের মতপার্থক্য রয়েছে। একদল বলেন যে, কোনো উটনী সন্তান প্রসব করবে, উক্ত সন্তান বড় হয়ে আবার সন্তান প্রসব করবে উক্ত সন্তানের বিনিময়মূল্য গ্রহণ করা হলো বায়‘ই হাবালুল হাবালাহ্। ইমাম মুসলিম এ হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেন, এ ব্যাখ্যাটি ইবনু ‘উমার কর্তৃক প্রদত্ত। ইমাম শাফি‘ঈ ও মালিক (রহঃ) এবং তাদের অনুসারীগণ অনুরূপ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। অপর ‘উলামাগণ বলেন যে, গর্ভবর্তী উটনীর গর্ভের বাচ্চা মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করাই হলো হাবালুল হাবালাহ্। আর এ ব্যাখ্যাটি হলো : আবূ ‘উবায়দাহ্ মা‘মার বিন মুসান্নাহ্ ও তাঁর অনুসারী ‘উবায়দাহ্ আল কাসিম বিন সালামাসহ অন্যান্য ভাষাবিদগণ কর্তৃক প্রদত্ত। তবে হাফিয আসকালানী (রহঃ) বলেনঃ প্রথম ব্যাখ্যাটি অগ্রগণ্য। কারণ তা হাদীস অনুযায়ী। ইবনু উমার হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, জাহিলী জামানার লোকেরা উটের গোশ্ত/গোশত বিক্রি করত হাবালুল হাবালাহ্ পর্যন্ত।
আর (حَبَلِ الْحَبَلَةِ) হলো উটনী তার পেটের সন্তান প্রসব করবে, অতঃপর উক্ত সন্তান বড় হয়ে গর্ভ ধারণ করবে, সে গর্ভের বাচ্চা উটনীই হলো (حَبَلِ الْحَبَلَةِ)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরনের ক্রয়-বিক্রয় হারাম করেছেন। (ফাতহুল বারী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২১৪৩, শারহে মুসলিম ১০ম খন্ড, হাঃ ১৫১৪)