২৮৫০

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়

২৮৫০-[১৭] উক্ত রাবী [ইবনু ’উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো লোক তার মুসলিম ভাইয়ের বেচাকেনার কথার বলার সময় নিজে বেচাকেনার কথা উত্থাপন করতে পারবে না। আর কোনো মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর নিজে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, যদি ঐ ভাই তা অনুমতি দেয়, তাহলে পারবে। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْمَنْهِىِّ عَنْهَا مِنَ الْبُيُوْعِ

وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَبِعِ الرَّجُلُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ وَلَا يَخْطِبْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ إِلَّا أنْ يأذَنَ لَهُ» . رَوَاهُ مُسلم

وعنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا يبع الرجل على بيع اخيه ولا يخطب على خطبة اخيه الا ان ياذن له» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: অপর বর্ণনায় রয়েছে যে, একজন মু’মিন অপর মু’মিনের ভাই, সুতরাং কোনো ঈমানদার ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় কোনো ঈমানদারের কেনা-বেচা করার উপর কেনা-বেচা করা এবং তার প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দেয়া। এ হাদীসগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে, কারো প্রস্তাবের উপর (কেনা-বেচার) প্রস্তাব করা হারাম। এখানে (لَا يَبِعِ الرَّجُلُ عَلٰى بَيْعِ أَخِيهِ) এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলোঃ পণ্যের মূল্য নির্ধারণ হওয়ার পর ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করে বেশী দাম বলা। (শারহে মুসলিম ৯ম খন্ড, হাঃ ১৪১২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)