২৮২৫

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুদ

২৮২৫-[১৯] ’আব্দুল্লাহ ইবনু হানযালাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। যিনি মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) কর্তৃক গোসলপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জেনে শুনে সুদের কেবলমাত্র একটি রোপ্যমুদ্রা খায়, তার গুনাহ ছত্রিশবার যিনার চেয়ে বেশি হয়। (আহমাদ, দারাকুত্বনী)[1]

আর বায়হাক্বী ’’শু’আবুল ঈমান’’-এ হাদীসটি ইবনু ’আব্বাস হতে বর্ণনা করেছেন। এতে অতিরিক্ত এ কথাও আছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তির শরীরের গোশ্ত/মাংস হারাম রিযক্বে গঠিত তার জন্য জাহান্নামই সর্বোত্তম।

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْظَلَةَ غَسِيلِ الْمَلَائِكَةِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دِرْهَمُ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ زِنْيَةً» . رَوَاهُ أَحْمَدُ والدراقطني
وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَزَادَ: وَقَالَ: «مَنْ نَبَتَ لَحْمُهُ مِنَ السُّحت فَالنَّار أولى بِهِ»

وعن عبد الله بن حنظلة غسيل الملاىكة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «درهم ربا ياكله الرجل وهو يعلم اشد من ستة وثلاثين زنية» . رواه احمد والدراقطني وروى البيهقي في شعب الايمان عن ابن عباس وزاد: وقال: «من نبت لحمه من السحت فالنار اولى به»

ব্যাখ্যা: (دِرْهَمُ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ زِنْيَةً) ‘‘জেনে শুনে এক দিরহাম সুদ খাওয়া ছত্রিশবার যিনা করার চাইতেও মারাত্মক অপরাধ’’। মুল্লা ‘আলী কারী বলেনঃ অত্র হাদীস দ্বারা হারাম মাল ভক্ষণে তিরস্কারের আধিক্য বুঝানো এবং হালাল রিযক অন্বেষণের উৎসাহ প্রদান উদ্দেশ্য। কেউ যদি না জেনেও করে, পাপের দিক থেকে সে ব্যক্তি জেনে সুদ ভক্ষণ করার সমান অপরাধী। কেননা এ ধরনের জ্ঞান অর্জন করা ফার্যে আইন তথা বাধ্যতামূলক। অতএব না জানা কোনো উযর নয় অপরাধ থেকে বাঁচার জন্য।

(مَنْ نَبَتَ لَحْمُه) ‘‘যার গোশ্ত/গোশত উৎপন্ন হলো’’ অর্থাৎ শরীরে গোশ্ত/গোশত গঠিত হলো এবং হাড় শক্ত হলো।

(مِنَ السُّحْتِ) ‘‘হারাম মাল দ্বারা’’ যার মধ্যে সুদ এবং ঘুষ অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ যে সকল উপায়ে অন্যায়ভাবে বান্দার হক বিনষ্ট করা হয়, এসবই السحت -এর অন্তর্ভুক্ত।

(فَالنَّارُ أَوْلٰى بِه) ‘‘আগুন তার জন্য অধিক উপযুক্ত’’ অর্থাৎ জাহান্নামের আগুন ঐ শরীরের জন্য অধিক উপযুক্ত। কেননা মানুষের শরীর যখন সুদের মাল দ্বারা গঠিত হয় তখন ঐ শরীর অনেক অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরে, ফলে তা জাহান্নামের উপযোগী হয়ে যায়। এমনকি যদি কোনো ব্যক্তি সুদকে হালাল মনে করে, তাহলে সে কাফির হয়ে যায়। আর কাফিরের জন্য জাহান্নাম অবধারিত। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)