১৯৯৮

পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ওয়াজেব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

(১৯৯৮) বুরাইদাহ কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সেনাদল বা অভিযানের কাউকে আমীর নিযুক্ত করতেন তখন তাকে আল্লাহভীতি ও তার মুসলিম সঙ্গীদের ব্যাপারে কল্যাণের অসিয়ত করতেন; বলতেন, ’’অভিযান শুরু কর আল্লাহর নামে, যুদ্ধ কর কাফের দলের বিরুদ্ধে। অভিযান কর; কিছু আত্মসাৎ করো না, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না, কারো নাক-কান কেটো না, শিশু হত্যা করো না তোমার কোন মুশরিক শত্রুদলের সাথে সাক্ষাৎ হলে, তাদেরকে তিনটি আচরণের প্রতি আহবান কর। এর যে কোনটিও মান্য করলে তাদের নিকট হতে তা গ্রহণ কর এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে বিরত হয়ে যাও ; তাদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান কর। যদি তারা তা মেনে নেয় তবে তাদের নিকট হতে তা গ্রহণ কর এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে বিরত হও অতঃপর তাদেরকে তাদের স্বদেশ হতে মুহাজেরীনদের দেশে স্থানান্তরিত হতে আহবান কর তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, যদি তারা এরূপ করে তবে মুহাজেরীনদের যে সুযোগ-সুবিধা আছে, তাদেরও সেই সুযোগ-সুবিধা হবে এবং মুহাজেরীনদের যে কর্তব্য আছে, তাদেরও সেই কর্তব্য হবে যদি তারা স্থানান্তরিত হতে অসম্মত হয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তারা মরুবাসী মুসলিমদের মত হবে তাদের উপর আল্লাহর হুকুম (শাসন-ব্যবস্থা) চলবে, যা মুসলিমদের উপর চলে।

মুসলিমদের সপক্ষে যুদ্ধ না করে গনীমত বা ’ফাই’-এর (যুদ্ধলব্ধ) কিছু মালও তারা পাবে না তাতে (ইসলাম গ্রহণ করতে) যদি তারা অসম্মত হয় তবে তাদের নিকট থেকে জিযিয়া চাও তাতে যদি তারা সম্মত হয় তবে তাদের নিকট থেকে তা গ্রহণ কর এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাক। কিন্তু তাতে যদি তারা রাজি না হয় তাহলে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা কর এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করআর যখন তুমি কোন দুর্গবাসীকে অবরুদ্ধ করবে তখন যদি তারা চায় যে, তুমি তাদের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রসূলের যিম্মা (সংরÿণের দায়িত্ব) প্রদান কর তাহলে তাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের যিম্মা দিয়ো না, বরং তাদেরকে তোমার ও তোমার সঙ্গীদের যিম্মা প্রদান করো কারণ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের যিম্মা প্রত্যাহার করার চেয়ে তোমাদের যিম্মা প্রত্যাহার করা অধিক সহজ আর যখন কোন দুর্গবাসীকে অবরুদ্ধ করবে তখন তারা আল্লাহর ফায়সালায় অবতীর্ণ হতে চাইলে তাদেরকে আল্লাহর ফায়সালায় অবতীর্ণ করো না বরং তাদেরকে তোমার নিজের ফায়সালায় অবতারণ কর যেহেতু তুমি জান না যে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর ফায়সালা সঠিকভাবে দিতে পারবে কি না।

عن بُرَيْدَةَ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِذَا أَمَّرَ أَمِيرًا عَلَى جَيْشٍ أَوْ سَرِيَّةٍ أَوْصَاهُ فِى خَاصَّتِهِ بِتَقْوَى اللهِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا ثُمَّ قَالَ اغْزُوا بِاسْمِ اللهِ فِى سَبِيلِ اللهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللهِ اغْزُوا وَ لاَ تَغُلُّوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تَمْثُلُوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا وَإِذَا لَقِيتَ عَدُوَّكَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَادْعُهُمْ إِلَى ثَلاَثِ خِصَالٍ - أَوْ خِلاَلٍ - فَأَيَّتُهُنَّ مَا أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى الإِسْلاَمِ فَإِنْ أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى التَّحَوُّلِ مِنْ دَارِهِمْ إِلَى دَارِ الْمُهَاجِرِينَ وَأَخْبِرْهُمْ أَنَّهُمْ إِنْ فَعَلُوا ذَلِكَ فَلَهُمْ مَا لِلْمُهَاجِرِينَ وَعَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُهَاجِرِينَ فَإِنْ أَبَوْا أَنْ يَتَحَوَّلُوا مِنْهَا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ كَأَعْرَابِ الْمُسْلِمِينَ يَجْرِى عَلَيْهِمْ حُكْمُ اللهِ الَّذِى يَجْرِى عَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَكُونُ لَهُمْ فِى الْغَنِيمَةِ وَالْفَىْءِ شَىْءٌ إِلاَّ أَنْ يُجَاهِدُوا مَعَ الْمُسْلِمِينَ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا فَسَلْهُمُ الْجِزْيَةَ فَإِنْ هُمْ أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللهِ وَقَاتِلْهُمْ وَإِذَا حَاصَرْتَ أَهْلَ حِصْنٍ فَأَرَادُوكَ أَنْ تَجْعَلَ لَهُمْ ذِمَّةَ اللهِ وَذِمَّةَ نَبِيِّهِ فَلاَ تَجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّةَ اللهِ وَلاَ ذِمَّةَ نَبِيِّهِ وَلَكِنِ اجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّتَكَ وَذِمَّةَ أَصْحَابِكَ فَإِنَّكُمْ أَنْ تُخْفِرُوا ذِمَمَكُمْ وَذِمَمَ أَصْحَابِكُمْ أَهْوَنُ مِنْ أَنْ تُخْفِرُوا ذِمَّةَ اللهِ وَذِمَّةَ رَسُولِهِ وَإِذَا حَاصَرْتَ أَهْلَ حِصْنٍ فَأَرَادُوكَ أَنْ تُنْزِلَهُمْ عَلَى حُكْمِ اللهِ فَلاَ تُنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِ اللهِ وَلَكِنْ أَنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِكَ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِى أَتُصِيبُ حُكْمَ اللهِ فِيهِمْ أَمْ لاَ

عن بريدة قال كان رسول الله ﷺ اذا امر اميرا على جيش او سرية اوصاه فى خاصته بتقوى الله ومن معه من المسلمين خيرا ثم قال اغزوا باسم الله فى سبيل الله قاتلوا من كفر بالله اغزوا و لا تغلوا ولا تغدروا ولا تمثلوا ولا تقتلوا وليدا واذا لقيت عدوك من المشركين فادعهم الى ثلاث خصال - او خلال - فايتهن ما اجابوك فاقبل منهم وكف عنهم ثم ادعهم الى الاسلام فان اجابوك فاقبل منهم وكف عنهم ثم ادعهم الى التحول من دارهم الى دار المهاجرين واخبرهم انهم ان فعلوا ذلك فلهم ما للمهاجرين وعليهم ما على المهاجرين فان ابوا ان يتحولوا منها فاخبرهم انهم يكونون كاعراب المسلمين يجرى عليهم حكم الله الذى يجرى على المومنين ولا يكون لهم فى الغنيمة والفىء شىء الا ان يجاهدوا مع المسلمين فان هم ابوا فسلهم الجزية فان هم اجابوك فاقبل منهم وكف عنهم فان هم ابوا فاستعن بالله وقاتلهم واذا حاصرت اهل حصن فارادوك ان تجعل لهم ذمة الله وذمة نبيه فلا تجعل لهم ذمة الله ولا ذمة نبيه ولكن اجعل لهم ذمتك وذمة اصحابك فانكم ان تخفروا ذممكم وذمم اصحابكم اهون من ان تخفروا ذمة الله وذمة رسوله واذا حاصرت اهل حصن فارادوك ان تنزلهم على حكم الله فلا تنزلهم على حكم الله ولكن انزلهم على حكمك فانك لا تدرى اتصيب حكم الله فيهم ام لا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২০/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ