পরিচ্ছেদঃ আত্মীয়তা অক্ষুন্ন রাখার গুরুত্ব
(১৭৩৫) উক্ত সাহাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ সকল কিছুকে সৃষ্টি করলেন। অতঃপর যখন তিনি সৃষ্টি কাজ শেষ করলেন, তখন আত্মীয়তার সম্পর্ক উঠে বলল, ’(আমার এই দণ্ডায়মান হওয়াটা) আপনার নিকট বিচ্ছিন্নতা থেকে আশ্রয়প্রার্থীর দণ্ডায়মান হওয়া।’ তিনি (আল্লাহ) বললেন, ’হ্যাঁ তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তোমার সাথে যে সুসম্পর্ক রাখবে, আমিও তার সাথে সুসম্পর্ক রাখব। আর যে তোমার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করব।’ সে (রক্ত সম্পর্ক) বলল, ’অবশ্যই।’ আল্লাহ বললেন, ’তাহলে এ মর্যাদা তোমাকে দেওয়া হল।’’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তোমরা চাইলে (এ আয়াতটি) পড়ে নাও; ’ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সম্ভবতঃ তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমাদের আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। ওরা তো তারা, যাদেরকে আল্লাহ অভিশপ্ত ক’রে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেন।’’ (সূরা মুহাম্মাদ ২২-২৩) (বুখারী ৪৮৩০, ৫৯৮৭, ৭৫০২, মুসলিম ৬৬৮২) বুখারীর ৫৯৮৮ অন্য বর্ণনায় ভিন্ন শব্দ বর্ণিত হয়েছে।
وَعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إنَّ اللهَ تَعَالَى خَلَقَ الخَلْقَ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْهُمْ قَامَتِ الرَّحِمُ، فَقَالَتْ : هَذَا مَقَامُ العَائِذِ بِكَ مِنَ القَطِيعةِ قَالَ : نَعَمْ أمَا تَرْضَيْنَ أنْ أصِلَ مَنْ وَصَلَكِ وَأقْطَعَ مَنْ قَطَعَكِ ؟ قَالَتْ : بَلَى قَالَ : فَذَلِكَ لَكِ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ اقْرَؤُوا إنْ شِئْتمْ فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ أُولَئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللهُ فَأَصَمَّهُمْ وَأَعْمَى أَبْصَارَهُمْ
وَفِيْ رِوَايَةٍ للبخاري : فَقَالَ الله تَعَالَىمَنْ وَصَلَكِ وَصَلْتُهُ وَمَنْ قَطَعَكِ قَطَعْتُهُ