১৬৫৫

পরিচ্ছেদঃ ব্যভিচার

(১৬৫৫) আবূ উমামা (রাঃ) বলেন, একদা এক যুবক আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, ’হে আল্লাহ রসূল! আপনি আমাকে ব্যভিচার করার অনুমতি দিন!’

এ কথা শুনে লোকেরা তাকে ধমক দিয়ে বলল, ’থামো, থামো! (এ কী বলছ তুমি?)’

কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ’’আমার কাছে এসো।’’

সে তাঁর কাছে এসে বসলে তিনি তাঁকে বললেন, ’’তুমি কি নিজ মায়ের জন্য তা পছন্দ কর?’’

সে বলল, ’না, আল্লাহর কসম! আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুন।’

তিনি বললেন, ’’তাহলে লোকেরাও তো তাদের মায়েদের জন্য তা পছন্দ করে না।’’

অতঃপর তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি কি তোমার মেয়ের জন্য তা পছন্দ কর?’’

সে বলল, ’না, আল্লাহর কসম! আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুন।’

তিনি বললেন, ’’তাহলে লোকেরাও তো তাদের মেয়েদের জন্য তা পছন্দ করে না।’’

অতঃপর তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি কি তোমার বোনের জন্য তা পছন্দ কর?’’

সে বলল, ’না, আল্লাহর কসম! আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুন।’

তিনি বললেন, ’’তাহলে লোকেরাও তো তাদের বোনেদের জন্য তা পছন্দ করে না।’’

অতঃপর তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি কি তোমার ফুফুর জন্য তা পছন্দ কর?’’

সে বলল, ’না, আল্লাহর কসম! আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুন।’

তিনি বললেন, ’’তাহলে লোকেরাও তো তাদের ফুফুদের জন্য তা পছন্দ করে না।’’

অতঃপর তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি কি তোমার খালার জন্য তা পছন্দ কর?’’

সে বলল, ’না, আল্লাহর কসম! আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য কুরবান করুন।’

তিনি বললেন, ’’তাহলে লোকেরাও তো তাদের খালাদের জন্য তা পছন্দ করে না।’’

অতঃপর তিনি তার বুকে হাত রাখলেন এবং তার জন্য দু’আ ক’রে বললেন, হে আল্লাহ! তুমি ওর গোনাহ মাফ করে দাও, ওর হৃদয়কে পবিত্র করে দাও এবং ওকে ব্যভিচার থেকে রক্ষা কর।

বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর সেই যুবক আর ব্যভিচারের দিকে ভ্রূক্ষেপও করেনি।

عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ قَالَ إِنَّ فَتًى شَابًّا أَتَى النَّبِيَّ ﷺ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ ائْذَنْ لِي بِالزِّنَا فَأَقْبَلَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ فَزَجَرُوهُ قَالُوا مَهْ مَهْ فَقَالَ ادْنُهْ فَدَنَا مِنْهُ قَرِيبًا قَالَ فَجَلَسَ قَالَ أَتُحِبُّهُ لِأُمِّكَ قَالَ لَا وَاللهِ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ قَالَ وَلَا النَّاسُ يُحِبُّونَهُ لِأُمَّهَاتِهِمْ قَالَ أَفَتُحِبُّهُ لِابْنَتِكَ قَالَ لَا وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ قَالَ وَلَا النَّاسُ يُحِبُّونَهُ لِبَنَاتِهِمْ قَالَ أَفَتُحِبُّهُ لِأُخْتِكَ قَالَ لَا وَاللهِ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ قَالَ وَلَا النَّاسُ يُحِبُّونَهُ لِأَخَوَاتِهِمْ قَالَ أَفَتُحِبُّهُ لِعَمَّتِكَ قَالَ لَا وَاللهِ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ قَالَ وَلَا النَّاسُ يُحِبُّونَهُ لِعَمَّاتِهِمْ قَالَ أَفَتُحِبُّهُ لِخَالَتِكَ قَالَ لَا وَاللهِ جَعَلَنِي اللهُ فِدَاءَكَ قَالَ وَلَا النَّاسُ يُحِبُّونَهُ لِخَالَاتِهِمْ قَالَ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهِ وَقَالَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ ذَنْبَهُ وَطَهِّرْ قَلْبَهُ وَحَصِّنْ فَرْجَهُ فَلَمْ يَكُنْ بَعْدُ ذَلِكَ الْفَتَى يَلْتَفِتُ إِلَى شَيْءٍ

عن ابي امامة قال ان فتى شابا اتى النبي ﷺ فقال يا رسول الله اىذن لي بالزنا فاقبل القوم عليه فزجروه قالوا مه مه فقال ادنه فدنا منه قريبا قال فجلس قال اتحبه لامك قال لا والله جعلني الله فداءك قال ولا الناس يحبونه لامهاتهم قال افتحبه لابنتك قال لا والله يا رسول الله جعلني الله فداءك قال ولا الناس يحبونه لبناتهم قال افتحبه لاختك قال لا والله جعلني الله فداءك قال ولا الناس يحبونه لاخواتهم قال افتحبه لعمتك قال لا والله جعلني الله فداءك قال ولا الناس يحبونه لعماتهم قال افتحبه لخالتك قال لا والله جعلني الله فداءك قال ولا الناس يحبونه لخالاتهم قال فوضع يده عليه وقال اللهم اغفر ذنبه وطهر قلبه وحصن فرجه فلم يكن بعد ذلك الفتى يلتفت الى شيء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি