১৬১

পরিচ্ছেদঃ নিয়ত ও ইখলাস সম্পর্কিত হাদীসসমূহ

(১৬১) সা’দ বিন আবী অক্কাস (রাঃ) বলেন, যে দশজন সাহাবীকে জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছিল ইনি তাঁদের মধ্যে একজন। বিদায় হজ্জ্বের বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার রুগ্ন অবস্থায় আমাকে দেখা করতে এলেন। সে সময় আমার শরীরে চরম ব্যথা ছিল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার (দৈহিক) জ্বালা-যন্ত্রণা কঠিন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে--যা আপনি স্বচক্ষে দেখছেন। আর আমি একজন ধনী মানুষ; কিন্তু আমার উত্তরাধিকারী বলতে আমার একমাত্র কন্যা। তাহলে আমি কি আমার মাল-সম্পদের দুই তৃতীয়াংশ দান করে দেব? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তাহলে অর্ধেক মাল হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তাহলে কি এক তৃতীয়াংশ দান করতে পারি? তিনি বললেন, এক তৃতীয়াংশ (দান করতে পার), তবে এক তৃতীয়াংশও অনেক। কারণ এই যে, তুমি যদি তোমার উত্তরাধিকারীদের ধনবান অবস্থায় ছেড়ে যাও, তাহলে তা এর থেকে ভাল যে, তুমি তাদেরকে কাঙ্গাল করে ছেড়ে যাবে এবং তারা লোকের কাছে হাত পাতবে।

(মনে রাখ,) আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তুমি যা ব্যয় করবে তোমাকে তার বিনিময় দেওয়া হবে। এমনকি তুমি যে গ্রাস তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দাও তারও তুমি বিনিময় পাবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি আমার সঙ্গীদের ছেড়ে পিছনে (মক্কায়) থেকে যাব? তিনি বললেন, তুমি যদি তোমার সঙ্গীদের মরার পর জীবিত থাক এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কোন কাজ কর, তাহলে তার ফলে তোমার মর্যাদা ও সম্মান বর্ধন হবে। আর সম্ভবতঃ তুমি বেঁচে থাকবে। এমনকি তোমার দ্বারা কিছু লোক (মু’মিনরা) উপকৃত হবে। আর কিছু লোক (কাফেররা) ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হে আল্লাহ! তুমি আমার সাহাবীদেরকে হিজরতে পরিপূর্ণতা দান কর এবং তাদেরকে (হিজরত থেকে) পিছনে ফিরিয়ে দিয়ো না। কিন্তু মিসকীন সা’দ ইবনে খাওলা। তাঁর মৃত্যু মক্কায় হওয়ার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেন।

وَعَنْ أَبيْ إسحَاقَ سَعدِ بنِ أبي وَقَّاصٍ مالِكِ بنِ أُهَيْب بنِ عبدِ مَنَافِ بنِ زُهرَةَ بنِ كِلاَبِ بنِ مُرَّةَ بنِ كَعبِ بنِ لُؤيٍّ القُرشِيِّ الزُّهريِّ أَحَدِ العَشَرَةِ المشهودِ لَهُم بِالْجَنَّةِ قَالَ : جَاءَنِي رسولُ اللهِ ﷺ يَعُودُنِي عَامَ حَجَّةِ الوَدَاعِ مِنْ وَجَعٍ اشْتَدَّ بي فقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ إنِّي قَدْ بَلَغَ بي مِنَ الوَجَعِ مَا تَرَى وَأَنَا ذُو مالٍ وَلا يَرِثُني إلا ابْنَةٌ لِي أفأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي ؟ قَالَ لا قُلْتُ : فالشَّطْرُ يَا رَسُولَ اللهِ؟ فقَالَ لا قُلْتُ : فالثُّلُثُ يَا رَسُولَ اللهِ ؟ قَالَ الثُّلُثُ والثُّلُثُ كَثيرٌ أَوْ كبيرٌ إنَّكَ إنْ تَذَرْ وَرَثَتَكَ أغنِيَاءَ خيرٌ مِنْ أنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يتكفَّفُونَ النَّاسَ وَإنَّكَ لَنْ تُنفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغي بِهَا وَجهَ اللهِ إلاَّ أُجِرْتَ عَلَيْهَا حَتَّى مَا تَجْعَلُ في فِيِّ امْرَأَتِكَ قَالَ : فَقُلتُ : يَا رسولَ اللهِ أُخلَّفُ بعدَ أصْحَابي ؟ قَالَ إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ فَتَعملَ عَمَلاً تَبتَغي بِهِ وَجْهَ اللهِ إلاَّ ازْدَدتَ بِهِ دَرَجةً ورِفعَةً وَلَعلَّكَ أنْ تُخَلَّفَ حَتّى يَنتَفِعَ بِكَ أقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخرونَ اَللّٰهُمَّ أَمْضِ لأصْحَابي هِجْرَتَهُمْ ولاَ تَرُدَّهُمْ عَلَى أعقَابهمْ لكنِ البَائِسُ سَعدُ بْنُ خَوْلَةَ يَرْثي لَهُ رَسُولُ الله ﷺ أنْ ماتَ بمَكَّة مُتَّفَقٌ عليهِ

وعن ابي اسحاق سعد بن ابي وقاص مالك بن اهيب بن عبد مناف بن زهرة بن كلاب بن مرة بن كعب بن لوي القرشي الزهري احد العشرة المشهود لهم بالجنة قال جاءني رسول الله ﷺ يعودني عام حجة الوداع من وجع اشتد بي فقلت يا رسول الله اني قد بلغ بي من الوجع ما ترى وانا ذو مال ولا يرثني الا ابنة لي افاتصدق بثلثي مالي قال لا قلت فالشطر يا رسول الله فقال لا قلت فالثلث يا رسول الله قال الثلث والثلث كثير او كبير انك ان تذر ورثتك اغنياء خير من ان تذرهم عالة يتكففون الناس وانك لن تنفق نفقة تبتغي بها وجه الله الا اجرت عليها حتى ما تجعل في في امراتك قال فقلت يا رسول الله اخلف بعد اصحابي قال انك لن تخلف فتعمل عملا تبتغي به وجه الله الا ازددت به درجة ورفعة ولعلك ان تخلف حتى ينتفع بك اقوام ويضر بك اخرون اللهم امض لاصحابي هجرتهم ولا تردهم على اعقابهم لكن الباىس سعد بن خولة يرثي له رسول الله ﷺ ان مات بمكة متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৩/ নিয়্যাত