পরিচ্ছেদঃ
২০। আয যুহরী বলেনঃ মদীনার আনসারগণের মধ্য থেকে অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন যে, তাঁরা উসমান বিন আফফান (রাঃ) কে বলতে শুনেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালে তাঁর কিছু সংখ্যক সাহাবী ভীষণ মর্মাহত হলেন, এমনকি তাদের কেউ কেউ নানা রকম দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হবার উপক্রম হলো। আমিও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। এই সময় একদিন আমি যখন বসে আছি, তখন উমার (রাঃ) আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে সালাম দিলেন। কিন্তু তিনি যে আমার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং আমাকে সালাম করেছেন তা আমি টের পাইনি। উমার (রাঃ) চলে গেলেন এবং আবু বাকরের (রাঃ) নিকট উপস্থিত হলেন। উমার (রাঃ) আবু বকর (রাঃ) কে বললেনঃ আমি উসমানের কাছ দিয়ে আসছিলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। কিন্তু তিনি আমার সালামের জবাব দিলেন না। এটা কি আপনার কাছে বিস্ময়কর লাগছে না?
অতঃপর আবু বাকরের শাসনকালে একদা আবু বাকর ও উমার আমার কাছে এলেন এবং উভয়ে আমাকে সালাম করলেন। তারপর আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ আমার কাছে আপনার ভাই উমার এসেছিলেন। তিনি জানালেন যে, তিনি আপনার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যাওয়ার সময় সালাম করেছিলেন। কিন্তু আপনি জবাব দেননি। এর কারণ কী? আমি বললামঃ আমি এটা করিনি? উমার (রাঃ) বললেনঃ অবশ্যই, আপনি করেছেন। তবে হে বনী উমাইয়া, এ কাজটি (সালামের জবাব দেয়া) আপনাদেরকে ক্লান্ত ও বিরক্ত করে তুলেছে। আমি বললামঃ আল্লাহর শপথ! আমি টেরই পাইনি যে, আপনি আমার কাছ দিয়ে গিয়েছেন এবং সালাম করেছেন। আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ উসমান সত্য কথা বলেছে।
আচ্ছা, (হে উসমান) কোন বিষয়ের ব্যস্ততা আপনাকে তা থেকে (সালামের জবাব দেয়া থেকে) বিরত রেখেছিল? (অর্থাৎ কোন দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগের কারণে কি আপনি ব্যাপারটা টের পাননি এবং সেদিকে লক্ষ্য করতে পারেননি?)। আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ জিনিসটি কী? উসমান (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তাঁর নবীকে তুলে নিলেন আমরা তাঁকে এ কথা জিজ্ঞেস করার আগে যে, এই সমাজের মুক্তির উপায় কী? আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ আমি এ প্রশ্ন তাঁকে করেছি। উসমান বলেনঃ এ কথা শ্ৰবণ করা মাত্ৰই আমি তার কাছে উঠে গেলাম, অতঃপর তাঁকে বললামঃ আমার পিতামাতা আপনার ওপর উৎসর্গ হোক। আপনিই এ কথা জিজ্ঞাসা করার অধিকতর যোগ্য। আবু বাকর (রাঃ) বললেনঃ আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে রাসূলুল্লাহ, এই জাতির মুক্তির উপায় কী? তিনি বললেনঃ যে কালেমা আমি আমার চাচার নিকট পেশ করলে তিনি তা প্ৰত্যাখ্যান করেছিলেন সেই কালেমা যে ব্যক্তি গ্ৰহণ করবে, সেটিই তার মুক্তির পথ।” (২৪ নং হাদীস দ্রষ্টব্য)
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، مِنْ أَهْلِ الْفِقْهِ أَنَّهُ سَمِعَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ - رَحِمَهُ اللهُ - يُحَدِّثُ: أَنَّ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَزِنُوا عَلَيْهِ، حَتَّى كَادَ بَعْضُهُمْ يُوَسْوِسُ، قَالَ عُثْمَانُ: وَكُنْتُ مِنْهُمْ، فَبَيْنَا أَنَا جَالِسٌ فِي ظِلِّ أُطُمٍ مِنَ الْآطَامِ مَرَّ عَلَيَّ عُمَرُ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَسَلَّمَ عَلَيَّ، فَلَمْ أَشْعُرْ أَنَّهُ مَرَّ وَلا سَلَّمَ، فَانْطَلَقَ عُمَرُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ: مَا يُعْجِبُكَ أَنِّي مَرَرْتُ عَلَى عُثْمَانَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ السَّلامَ؟ وَأَقْبَلَ هُوَ وَأَبُو بَكْرٍ فِي وِلايَةِ أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، حَتَّى سَلَّمَا عَلَيَّ جَمِيعًا، ثُمَّ قَالَ أَبُو بَكْرٍ: جَاءَنِي أَخُوكَ عُمَرُ، فَذَكَرَ أَنَّهُ مَرَّ عَلَيْكَ، فَسَلَّمَ فَلَمْ تَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلامَ، فَمَا الَّذِي حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: مَا فَعَلْتُ، فَقَالَ عُمَرُ: بَلَى وَاللهِ لَقَدْ فَعَلْتَ، وَلَكِنَّهَا عُبِّيَّتُكُمْ يَا بَنِي أُمَيَّةَ، قَالَ: قُلْتُ: وَاللهِ مَا شَعَرْتُ أَنَّكَ مَرَرْتَ بِي، وَلا سَلَّمْتَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: صَدَقَ عُثْمَانُ، وَقَدْ شَغَلَكَ عَنْ ذَلِكَ أَمْرٌ؟ فَقُلْتُ: أَجَلْ، قَالَ: مَا هُوَ؟ فَقَالَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: تَوَفَّى الله عَزَّ وَجَلَّ نَبِيَّهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ عَنْ نَجَاةِ هَذَا الْأَمْرِ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: قَدْ سَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، قَالَ: فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ لَهُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، أَنْتَ أَحَقُّ بِهَا، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، مَا نَجَاةُ هَذَا الْأَمْرِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ قَبِلَ مِنِّي الْكَلِمَةَ الَّتِي عَرَضْتُ عَلَى عَمِّي، فَرَدَّهَا عَلَيَّ، فَهِيَ لَهُ نَجَاةٌ
المرفوع منه صحيح بشواهده، رجاله ثفات رجال الشيخين غير الرجل الذي روى عنه الزهري، ووصف الزهري له بأنه من أهل الفقه - وسيأتي أيضاً أنه قال: غير متهم - تقوية لأمره وتوثيق له. وسيأتي برقم (24) ، وانظر (37)
وله شاهد عن عمر بن الخطاب سيأتي تخريجه في " المسند " برقم (187) ، وعن عثمان بن عفان وسيأتي تخريجه في "المسند" أيضاً برقم (447)
الأُطُم، وتُسكن الطاء: بناء مرتفع
والعبية: الكبر، وتُضم عينها وتُكسر