পরিচ্ছেদঃ ১৫. জাসসার প্রসঙ্গে
৪৩২৬। ফাতিমাহ বিনতু কাইস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনতে পেলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করেছেন যে, সালাতের জন্য সমবেত হও। অতএব আমি বেরিয়ে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত আদায় করলাম। সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসতে হাসতে মিম্বারের উপর বসে বললেনঃ প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্থানে বসে থাকো।
পুনরায় বললেনঃ তোমরা কি জানো, কেন আমি তোমাদের একত্র করেছি? উপস্থিত সকলেই বললো, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জানে। তিনি বললেনঃ কোনো ভয়-ভীতি বা কোনো কাঙ্ক্ষিত বস্তুর জন্য আমি তোমাদের একত্র করিনি; বরং তোমাদের একত্র করেছি এজন্য যে, তামীম আদ-দারী খৃষ্টান ছিলো। সে এসে বাই’আত করে মুসলিম হয়েছে, আর আমাকে দাজ্জাল সম্পর্কে এরূপ একটি ঘনা শুনিয়েছে, আমি তোমাদের নিকট সে সম্পর্কে যা বলেছি, তার অনুরূপ।
সে বলেছে, একদা সে ’লাখম ও জুযাম’ গোত্রের তিরিশজন লোকের সঙ্গে সমুদ্রযানে ভ্রমণ করছিল। এ সময় সমুদ্র তরঙ্গ তাদের নিয়ে একমাস পর্যন্ত খেলা করে সূর্যাস্তের সময় উপকূলের দ্বীপে ভিড়িয়ে দেয়। অতঃপর তারা জাহাজের নিকট কিছুক্ষণ বসে থেকে দ্বীপের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। সেখানে তারা ঘন-লম্বা লোমবিশিষ্ট এক জন্তুর সাক্ষা পেয়ে বললো, তোমার জন্য দুঃখ হয় তুমি কে? সে বললো, আমি জাস্সাসা, তোমার এই মন্দিরের লোকটির নিকট যাও, কেননা সে তোমাদের সংবাদের জন্য খুবই আগ্রহী। তামীম আদ-দারী বলেন, যখন সে একটি লোকের নাম বলে দিলো, তখন সে শয়তান কি না এই ভয়ে আমরা দ্রুতগতিতে চলতে লাগলাম।
অতঃপর মন্দিরে প্রবেশ করে দেখলাম, বিরাট দেহের অধিকারী এক ব্যক্তি। এরূপ মজবুত গড়ন এবং কঠিন আকৃতির লোক ইতিপূর্বে আমরা কখনো দেখিনি। তার দু’টি হাত ঘাড়ের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে বাঁধা। অতঃপর তিনি হাদীস বর্ণনা করেন যে, সে তাদের নিকট ’বাইসান’ এর খেজুর বাগান ও যুগার ঝর্ণা সম্পর্কে, আর উম্মী নবীর আবির্ভাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে বললো, আমিই মাসীহ (দাজ্জাল)।
শিঘ্রই আমাকে বেরিয়ে আসার অনুমতি দেয়া হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সেটা নিশ্চয়ই সিরিয়া বা ইয়ামেন সাগরে হবে, না বরং সেটা প্রাচ্যের দিকে হবে। একথা তিনি দু’বার বলেন এবং পূর্ব দিকে ইশারা করে দেখান। তিনি (ফাতিমাহ) বলেন, আমি এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছ থেকে মুখস্থ করেছি।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي خَبَرِ الْجَسَّاسَةِ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: سَمِعْتُ حُسَيْنًا الْمُعَلِّمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، حَدَّثَنَا عَامِرُ بْنُ شَرَاحِيلَ الشَّعْبِيُّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، قَالَتْ: سَمِعْتُ مُنَادِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنَادِي: أَنِ الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ، فَخَرَجْتُ فَصَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاتَهُ، جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَضْحَكُ، قَالَ: لِيَلْزَمْ كُلُّ إِنْسَانٍ مُصَلَّاهُ، ثُمَّ قَالَ: هَلْ تَدْرُونَ لِمَ جَمَعْتُكُمْ؟ قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: إِنِّي مَا جَمَعْتُكُمْ لِرَهْبَةٍ، وَلَا رَغْبَةٍ، وَلَكِنْ جَمَعْتُكُمْ أَنَّ تَمِيمًا الدَّارِيَّ كَانَ رَجُلًا نَصْرَانِيًّا، فَجَاءَ فَبَايَعَ وَأَسْلَمَ، وَحَدَّثَنِي حَدِيثًا وَافَقَ الَّذِي حَدَّثْتُكُمْ عَنِ الدَّجَّالِ، حَدَّثَنِي أَنَّهُ رَكِبَ فِي سَفِينَةٍ بَحْرِيَّةٍ مَعَ ثَلَاثِينَ رَجُلًا مِنْ لَخْمٍ، وَجُذَامٍ، فَلَعِبَ بِهِمُ الْمَوْجُ شَهْرًا فِي الْبَحْرِ، وَأَرْفَئُوا إِلَى جَزِيرَةٍ حِينَ مَغْرِبِ الشَّمْسِ، فَجَلَسُوا فِي أَقْرُبِ السَّفِينَةِ، فَدَخَلُوا الْجَزِيرَةَ، فَلَقِيَتْهُمْ دَابَّةٌ أَهْلَبُ كَثِيرَةُ الشَّعْرِ، قَالُوا: وَيْلَكِ مَا أَنْتِ؟ قَالَتْ: أَنَا الْجَسَّاسَةُ، انْطَلِقُوا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فِي هَذَا الدَّيْرَ، فَإِنَّهُ إِلَى خَبَرِكُمْ بِالْأَشْوَاقِ، قَالَ: لَمَّا سَمَّتْ لَنَا رَجُلًا، فَرِقْنَا مِنْهَا أَنْ تَكُونَ شَيْطَانَةً، فَانْطَلَقْنَا سِرَاعًا حَتَّى دَخَلْنَا الدَّيْرَ، فَإِذَا فِيهِ أَعْظَمُ إِنْسَانٍ رَأَيْنَاهُ قَطُّ خَلْقًا، وَأَشَدُّهُ وَثَاقًا مَجْمُوعَةٌ يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ - فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَسَأَلَهُمْ عَنْ نَخْلِ بَيْسَانَ، وَعَنْ عَيْنِ زُغَرَ، وَعَنِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ، قَالَ: إِنِّي أَنَا الْمَسِيحُ، وَإِنَّهُ يُوشَكُ أَنْ يُؤْذَنَ لِي فِي الْخُرُوجِ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَإِنَّهُ فِي بَحْرِ الشَّامِ أَوْ بَحْرِ الْيَمَنِ، لَا، بَلْ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ مَا هُوَ مَرَّتَيْنِ، وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ قِبَلَ الْمَشْرِقِ، قَالَتْ: حَفِظْتُ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَاقَ الْحَدِيثَ
صحيح
Fatimah, daughter of Qais, said:
I heard the crier of the Messenger of Allah (ﷺ) calling : Assemble for the prayer. I Then came out and prayed along with the Messenger of Allah (ﷺ): When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer, he sat on the pulpit laughing, and he said : Everyone should remain where he had said his prayer. He then asked : Do you know why I have assembled you? They said: Allah and His Messenger know best. He (ﷺ) said: I did not call you together fors some alarming news or for something good. Rather, I called you all because Tamim al-Dari, a Christian, who came and accepted Islam, told me something which agrees with what I was telling you about the Dajjal. He told me that he sailed with thirty men of Lakhm and Judham and that they were storm-tossed for a month. They drew near to an island when the sun was setting. They sat in a boat nearest to them and entered the island where they were met by a very hairy beast. They said: Woe to you! What can you be ? It replied : I am the Jassasah. Go to this man in the monastery, for he is anxious to get news of you. He said : When it named a man to us we were afraid of it lest it should be a she-devil. So we went off quickly and entered the monastery, where we found a man with the hugest and strongest frame we had ever seen with his hands chained to his neck. He then narrated the rest of the tradition. He asked them about the palm-trees of Baisan and the spring of Zughar and about the unlettered prophet. He said: I am the messiah (the Antichrist) and will be soon given permission to emerge. And the Prophet (ﷺ) said: He is in the Syrian sea or the Yemeni sea: No, on the contrary, it is towards the east that he is. He said it twice and pointed his hand to the east. She said: I memorized this (tradition) from the Messenger of Allah (ﷺ), and she narrated the tradition.