পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইহরাম অবস্থায় যা থেকে বেঁচে থাকতে হবে
২৬৯৫-[১৮] আবূ রাফি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবি মায়মূনাহ্-কে হালাল অবস্থায় বিয়ে করেছিলেন এবং হালাল অবস্থায়ই তার সাথে মেলামেশা করেছিলেন। আর আমিই ছিলাম তাদের মধ্যে বার্তাবাহক। (আহমাদ, তিরমিযী; ইমাম তিরমিযী হাদীসটি হাসান বলেছেন)[1]
وَعَن أبي رافعٍ
قَالَ: تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَيْمُونَةَ وَهُوَ حَلَالٌ وَبَنَى بِهَا وَهُوَ حَلَالٌ وَكُنْتُ أَنَا الرَّسُولَ بَيْنَهُمَا. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
ব্যাখ্যা: এ হাদীসটি প্রথম পরিচ্ছেদের ইয়াযীদ বিন আসম-এর, যা পূর্বে চলে গেছে তারই মত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মায়মূনাহ্ (রাঃ)-কে বিবাহ করেছেন হালাল অবস্থায় যদিও এ বর্ণনাটি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনার বিপরীত। ইমাম হাযিমী তাঁর কিতাব ‘বায়ানুন্ নাসিখ ওয়াল মানসূখ’ (পৃঃ ১১) বলেন, আবূ রাফি'-এর হাদীসই বেশি ‘আমলের উপযুক্ত, কারণ তিনি হচ্ছেন ঘটনার বাস্তবসাক্ষী আর ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হলেন বর্ণনাকারী। সুতরাং বাস্তব সাক্ষী যিনি তার বর্ণনার সাথে অন্য কোন সাধারণ বর্ণনাকারীর বর্ণনা যদি সাংঘর্ষিক হয় তাহলে বাস্তবসাক্ষী যিনি তার বর্ণনাটা অগ্রাধিকার পাওয়াই স্বাভাবিক। এমনটাই ঘটেছিল যখন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) মোজার উপর মাসেহ করার মাসআলাহ্ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন তখন তিনি মাসআলাটি প্রশ্নকারীকে ‘আলী (রাঃ)-এর নিকট থেকে জেনে নিতে বলেন এবং বলেন, কারণ ‘আলী (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সফর করতেন। সুতরাং সফরে মোজার উপর মাসেহ কেমন হবে তা আমার চেয়ে তিনিই ভালো জানেন। এ মতই ইমাম যায়লা‘ঈ সমর্থন করেছেন। (নাস্বুর রায়াহ ৩য় খণ্ড পৃঃ ১৭৪)