পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - ‘আরাফায় অবস্থান প্রসঙ্গে
২৫৯৪-[৩] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এমন কোন দিন নেই, যেদিন আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদেরকে ’আরাফার দিনের চেয়ে জাহান্নাম থেকে বেশি মুক্তি দিয়ে থাকেন। তিনি সেদিন বান্দাদের খুব নিকটবর্তী হন, তাদেরকে নিয়ে মালায়িকার (ফেরেশতাগণের) কাছে গর্ববোধ করে বলেন, এরা কি চায়? (অর্থাৎ- যা চায় আমি তাদেরকে তাই দেবো)। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْوُقُوْفِ بِعَرَفَةَ
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللَّهُ فِيهِ عَبْدًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ وَإِنَّهُ لَيَدْنُو ثُمَّ يُبَاهِي بِهِمُ الْمَلَائِكَةَ فَيَقُولُ: مَا أَرَادَ هَؤُلَاءِ . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: হাদীসটি ‘আরাফার দিন ফাযীলাতপূর্ণ হওয়ার ব্যাপারে দলীল। যদি কেউ বলেন, আমার স্ত্রী সর্বোত্তম দিনে ত্বলাক্ব। এ উত্তম দিনটির ব্যাপারে দু’টি মত রয়েছে।
১. জুমু‘আর দিন উদ্দেশ্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ হাদীসের কারণে,
خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيْهِ الشَّمْسُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ.
অর্থাৎ- এক সপ্তাহের বা সাত দিনের মধ্যে উত্তম দিন হচ্ছে জুমু‘আর দিন। আর এভাবেই এ হাদীসের ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
২. ‘আরাফার দিন উদ্দেশ্য, সরাসরি হাদীসে বর্ণিত হওয়ার কারণে। ‘আরাফার দিন ফাযীলাতপূর্ণ হওয়ার হাদীসটি বাহ্যিকভাবে ইঙ্গিত বহন করে যে, সালফে সলিহীনদের মতানুসারে তিনি সুবহানাহূ তা‘আলা মাখলূকের সাথে কোন প্রকার তা’বীল, তাক্‘ঈফ ও তাসবীহ ব্যতীত ‘আরাফার দিন দুপুরের পরে বান্দাদের নিকটবর্তী হন। অতঃপর বান্দাকে নিয়ে মালায়িকাহ্’র সাথে ফখর করেন।
মুল্লা ‘আলী কারী বলেন, তারা কি চায়? যার কারণে তারা পরিবার ও দেশ ত্যাগ করেছে, মাল ব্যয় করেছে। মূলত তারা ক্ষমা, সন্তুষ্টি, নৈকট্য ও সাক্ষাৎ লাভ করতে চায়।