২৫৫১

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইহরাম ও তালবিয়াহ্

২৫৫১-[১২] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুলহুলায়ফায় ইহরাম বাঁধার সময় দুই রাক্’আত সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করেছেন। অতঃপর যুলহুলায়ফার মসজিদের কাছে তাঁর উষ্ট্রী তাঁকে নিয়ে দাঁড়ালে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ সব শব্দের দ্বারা তালবিয়াহ্ পাঠ করলেন, ’’লাব্বায়কা আল্লা-হুম্মা লাব্বায়কা লাব্বায়কা ওয়া সা’দায়কা, ওয়াল খয়রু ফী ইয়াদায়কা লাব্বায়কা, ওয়ার্ রগবা-উ ইলায়কা ওয়াল ’আমলু’’ (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার দরবারে উপস্থিত, আমি তোমার দরবারে উপস্থিত। আমি উপস্থিত আছি ও তোমার দরবারের সৌভাগ্য লাভ করেছি, সব কল্যাণ তোমার হাতে নিহীত। আমি উপস্থিত, সকল কামনা-বাসনা তোমারই হাতে, সকল ’আমল তোমারই জন্যে।)। (বুখারী ও মুসলিম; তবে শব্দগুলো মুসলিমের)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْكَعُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ النَّاقَةُ قَائِمَةً عِنْدَ مَسْجِدِ ذِي الْحُلَيْفَةِ أَهَلَّ بِهَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ وَيَقُولُ: «لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَل» . مُتَّفق عَلَيْهِ وَلَفظه لمُسلم

وعن ابن عمر قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يركع بذي الحليفة ركعتين ثم اذا استوت به الناقة قاىمة عند مسجد ذي الحليفة اهل بهولاء الكلمات ويقول: «لبيك اللهم لبيك لبيك وسعديك والخير في يديك لبيك والرغباء اليك والعمل» . متفق عليه ولفظه لمسلم

ব্যাখ্যা: (يَرْكَعُ بِذِى الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ) ‘‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুলহুলায়ফাতে (ইহরামের পূর্বে) দু’ রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করতেন।’’ ‘আল্লামা যুরক্বানী বলেনঃ এ দু’ রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) সুন্নাতুল ইহরাম তথা ইহরামের সুন্নাত। আর তা ছিল নফল সালাত (সালাত/নামাজ/নামায)। জমহূর ‘উলামাগণের অভিমত এটাই।

হাসান বাসরী ফরয সালাতের পর ইহরাম বাঁধা মুস্তাহাব মনে করতেন। ‘আল্লামা ইবনু কুদামাহ্ বলেনঃ সালাতের পর ইহরাম বাঁধা মুস্তাহাব। ফরয সালাতের সময় হলে ফরয সালাতের পর ইহরাম বাঁধবে। তা না হলে দু’ রাক্‘আত নফল সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে ইহরাম বাঁধবে। ‘আত্বা, ত্বাউস, মালিক, শাফি‘ঈ, সাওরী, আবূ হানীফা, ইসহাক, আবূ সাওর ও ইবনুল মুনযির তা মুস্তাহাব মনে করতেন। ইবনু ‘উমার ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকেও এমনটি বর্ণিত হয়েছে। মোটকথা হলো সালাতের পর ইহরাম বাঁধা সুন্নাত। যদি ফরয সালাতের পর তা বাঁধা হয় তাহলে শুধুমাত্র সুন্নাতের উপর ‘আমল হলো। আর যদি নফল সালাতের পর বাঁধা হয় তাহলে সুন্নাত ও মুস্তাহাব দু’টিই পাওয়া গেল।

(أَهَلَّ بِهَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ) ‘‘তালবিয়ার শব্দগুলো উচ্চস্বরে পাঠ করতেন’’। হাদীসের এ অংশ প্রমাণ করে যে, উচ্চস্বরে তালবিয়াহ্ পাঠ করা মুস্তাহাব।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك)