২৫৩২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২৫৩২-[২৮] উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি মসজিদে আক্বসা থেকে মসজিদে হারামের দিকে হজ্জ/হজ বা ’উমরার ইহরাম বাঁধবে তার পূর্বের ও পরের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। অথবা তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তার জন্যে জান্নাত অবধারিত হবে। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ أَهَلَّ بِحَجَّةٍ أَوْ عُمْرَةٍ مِنَ الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى إِلَى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ أَوْ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

وعن ام سلمة قالت: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: من اهل بحجة او عمرة من المسجد الاقصى الى المسجد الحرام غفر له ما تقدم من ذنبه وما تاخر او وجبت له الجنة. رواه ابو داود وابن ماجه

ব্যাখ্যা: এ হাদীসে ঐ ইঙ্গিত রয়েছে যে, ইহরাম যতদূর থেকে বাঁধা হয় সাওয়াব তত বেশী। ‘আল্লামা ত্ববারী বলেনঃ এ হাদীস দ্বারা তারা দলীল পেশ করে থাকেন যারা বলেন যে, মীকাতের পূর্বে ইহরাম বাঁধাতে ফাযীলাত বেশী। তবে এখানে এ কথা বলার অবকাশ রয়েছে যে, এটা বায়তুল মাক্বদিসের জন্য বিশেষ বৈশিষ্ট্য যা অন্য স্থানের জন্য নেই। কেননা দূরত্বের কারণেই যদি সাওয়াব বেশী হত তাহলে বায়তুল মাকদিসের চাইতেও আরো কোন দূরবর্তী স্থানের উল্লেখ করাই উত্তম ছিল।

ইমাম খাত্ত্বাবী বলেনঃ এ হাদীস প্রমাণ করে মীকাতের পূর্বে ইহরাম বাঁধা বৈধ। আর একাধিক সাহাবী মীকাতে পৌঁছবার আগেই ইহরাম বেঁধেছেন। তবে একদল ‘আলিম তা মাকরূহ বলেছেন। এমনকি ‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) ‘ইমরান ইবনুল হুসায়ন (রাঃ) কে বাসরাহ্ থেকে ইহরাম বাঁধার বিষয়ের প্রতি অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। হাসান বাসরী, ‘আত্বা ইবনু আবী রবাহ এবং মালিক ইবনু আনাস তা মাকরূহ মনে করতেন।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك)