২৪৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশ্রয় প্রার্থনা করা

২৪৬৮-[১২] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (দু’আয়) বলতেন, ’’আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ’ঊযুবিকা মিনাশ্ শিকা-কি, ওয়ান্ নিফা-কি ওয়া সূয়িল আখলা-ক’’ (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি সত্যের বিরুদ্ধাচরণ, মুনাফিক্বী ও চরিত্রহীনতা হতে তোমার কাছে আশ্রয় চাই)। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]

وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الشِّقَاقِ وَالنِّفَاقِ وَسُوءِ الْأَخْلَاقِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

وعنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقول: «اللهم اني اعوذ بك من الشقاق والنفاق وسوء الاخلاق» . رواه ابو داود والنساىي

ব্যাখ্যা: (شِقَاقِ) ‘শিকা-ক’ বলতে এখানে সত্যের বিরোধিতা করাকে বুঝানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

بَلِ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي عِزَّةٍ وَشِقَاقٍ

‘‘কিন্তু কাফিরগণ ঔদ্ধত্য ও বিরোধিতায় ডুবে আছে।’’ (সূরা সাদ ৩৮ : ০২)

(النِّفَاقِ) ‘‘আন্ নিফাক’’ অর্থ অন্তরে কুফরকে গোপন রেখে বাহ্যিকভাবে ইসলাম প্রকাশ করা। এখানে ‘নিফাক’ বলতে বেশি বেশি মিথ্যা কথা বলা, আমানাতের খিয়ানাত করা, ওয়া‘দা ভঙ্গ করা, ঝগড়ার সময় গালি-গালাজ করাকেও বুঝানো হতে পারে।

‘‘চরিত্রের অসাধুতা’’ (سُوْءِ الْأَخْلَاقِ) দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে উদারতা ও চেহারার প্রফুল্লতার বিপরীত কিছু। ইবনুল মালিক-এর মতে এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, সত্যানুসারীদের কষ্ট দেয়া, পরিবার ও নিকটাত্মীয়দের কষ্ট দেয়া, তাদের ক্ষেত্রে অন্যায়ভাবে কঠোর আচরণ করা এবং তাদের থেকে কোন ভুল বা পাপ প্রকাশিত হলে তা ক্ষমাসুন্দর চোখে না দেখা।

উল্লেখ্য যে, অত্র হাদীসে উল্লিখিত প্রথম দু’টি বিষয়ও তৃতীয় বিষয়টির অন্তর্ভুক্ত মনে হলেও তৃতীয় বিষয়টি দ্বারা গোপন গুণাবলী বুঝানো হচ্ছে আর প্রথম দু’টি প্রকাশ্য খারাপ গুণ।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)