পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দু‘আ
২৪৪৯-[৩৪] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন তাঁর কাছে একজন মুকাতাব (চুক্তিবদ্ধ দাস) এসে বললো, আমি আমার কিতাবাতের (মুনিবের সাথে সম্পদের লিখিত চুক্তিপত্রের) মূল্য পরিশোধ করতে পারছি না, আমাকে সাহায্য করুন। উত্তরে তিনি [’আলী (রাঃ)] বললেন, আমি কি তোমাকে এমন কিছু কালাম (বাক্য) শিখিয়ে দেবো, যা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শিখিয়েছেন? (এ দু’আর মাধ্যমে) যদি তোমার ওপর বড় পাহাড়সম ঋণের বোঝাও থাকে, আল্লাহ তা পরিশোধ করে দেবেন। তুমি পড়বে,
’’আল্ল-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ’আন্ হারা-মিকা, ওয়া আগ্নিনী বিফাযলিকা ’আম্মান্ সিওয়াক’’
(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হালাল [জিনিসের] সাহায্যে হারাম থেকে বাঁচিয়ে রাখো এবং তুমি তোমার রহমতের মাধ্যমে আমাকে পরমুখাপেক্ষী হতে রক্ষা করো।)। (তিরমিযী, বায়হাক্বী- দা’ওয়াতুল কাবীর)[1]
আর জাবির (রাঃ)-এর(إِذَا سَمِعْتُمْ نُبَاحَ الْكِلَابِ) ’’যখন তোমরা কুকুরের আওয়াজ শুনতে পাবে’’ বর্ণিত হাদীসটিتَغْطِيَةِ الْأَوَانِىْ ’’পাত্র ঢেকে রাখা’’ অনুচ্ছেদে আমরা উল্লেখ করব ইনশা-আল্ল-হ।
وَعَن عليّ: أَنَّهُ جَاءَهُ مُكَاتَبٌ فَقَالَ: إِنِّي عَجَزْتُ عَنْ كتابي فَأَعِنِّي قَالَ: أَلَا أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ عَلَّمَنِيهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ كَانَ عَلَيْكَ مِثْلُ جَبَلٍ كَبِيرٍ دَيْنًا أَدَّاهُ اللَّهُ عَنْكَ. قُلْ: «اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ
وَسَنَذْكُرُ حَدِيثَ جَابِرٍ: «إِذَا سَمِعْتُمْ نُبَاحَ الْكِلَابِ» فِي بَابِ «تَغْطِيَةِ الْأَوَانِي» إِن شَاءَ الله تَعَالَى
ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ মুকাতাব গোলাম সম্পদ চাইল আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দু‘আ শিক্ষা দিলেন। কেননা তাকে সাহায্য করার মতো কোন সম্পদ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ছিল না। কাজেই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সর্বোত্তম কিছু দিয়ে ফিরিয়ে দিলেন, ‘আমল ফিরে দিলেন, আল্লাহ তা‘আলা কথার ভিত্তিতে ‘‘ভাল কথা বলা ও ক্ষমা করা সদাকাহ্ অপেক্ষা উত্তম’’। (সূরা আল বাকারাহ্ ২ : ২৬৩)
অথবা তাকে সঠিক পথ দেখালেন। এটি এদিকে ইঙ্গিত করে যে, নিশ্চয় উত্তম ও অধিক বিশুদ্ধ বিষয় হলো তা (মালিকের পাওনা) আদায় করার জন্য আল্লাহর নিকট সাহায্য চাওয়া এবং অন্যের ওপর নির্ভর না করা। আর আল্লাহ তা‘আলা এ ব্যাপারে সাহায্য করবেন।