পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দু‘আ
২৪৪৭-[৩২] আবূ বকরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিপদগ্রস্ত লোকের দু’আ হলো,
’’আল্ল-হুম্মা রহমতাকা আরজূ ফালা- তাকিলনী ইলা- নাফসী ত্বরফাতা ’আয়নিন, ওয়া আসলিহ লী শা’নী কুল্লা-হূ, লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্তা’’
(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার রহমত প্রত্যাশা করি। তুমি আমাকে আমার নিজের ওপর ক্ষণিকের জন্যও ছেড়ে দিও না। বরং তুমি নিজে আমার সকল বিষয়াদি সংশোধন করে দাও। তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আর কোন মা’বূদ নেই।)। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعَوَاتُ الْمَكْرُوبِ اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو فَلَا تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ) এ দু‘আর শেষে ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা’’ এর উল্লেখ করা। এটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। কেননা তা একক মা‘বূদের ফায়দা দেয়। অর্থাৎ- ‘ইবাদাতের যোগ্য মাত্র একজনই এটা জানিয়ে দেয়।
‘আল্লামা মানাবী (রহঃ) বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলার হাজির-নাজির ও স্বাক্ষর শব্দ দ্বারা এটি শেষ করার দ্বারা এদিকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, নিশ্চয় এ দু‘আ চিন্তিত ব্যক্তির উপকার করবে এবং চিন্তা দূর করবে। আর যে ব্যক্তি তাওহীদের সাক্ষ্য দিবে সে পার্থিব জীবনে চিন্তা দূর হওয়ার মাধ্যমে মুক্ত হয়ে যাবে এবং আখিরাতে রহমাত ও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবে।