পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দু‘আ
২৪৪৫-[৩০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি বিয়ে করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলতেন, ’’বা-রকাল্ল-হ লাকা ওয়া বা-রকা ’আলায়কুমা- ওয়া জামা’আ বায়নাকুমা- ফী খায়রিন’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ তোমাকে বারাকাত দিন, তোমাদের উভয়ের ওপর বারাকাতময় করুন এবং তোমাদেরকে [সর্বদা] কল্যাণের সাথে একত্রিত রাখুন)। (আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَفَّأَ الْإِنْسَانَ إِذَا تَزَوَّجَ قَالَ: «بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكُمَا وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ» رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
ব্যাখ্যা: নব দুলালের জন্য সুখী জীবন ও অধিক সন্তানের দু‘আকারী- এ কথাগুলো জাহিলী জামানার লোকেরা বলত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা প্রত্যাখ্যান করলেন। যেমন- বাক্বী ইবনু মিখলাদ বর্ণনা করেছেন গালিব (রহঃ)-এর সূত্রে, তিনি হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বানু তামীম গোত্রের এক লোক থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমরা জাহিলী যুগে নব বিবাহিত দুলালের প্রতি সুখী-জীবন ও অধিক সন্তান জন্মের দু‘আ করতাম, যখন ইসলাম আসলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের শিক্ষা দিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা বলো- (بارك الله لكم وبارك فيكم وبارك عليكم) অর্থাৎ- আল্লাহ তোমাদের জন্য বারাকাত দান করুন, তোমাদের মাঝে বারাকাত দান করুন, তোমাদের ওপর বারাকাত দান করুন। (নাসায়ী, ত্ববারানী)
ইবনুস্ সুন্নীর অপর বর্ণনায় রয়েছে যে, ‘আক্বীল ইবনু আবী ত্বলিব বাসরাহ্ গমন করলেন। অতঃপর এক নারীকে বিয়ে করলেন। অতঃপর তারা তাকে সুখী জীবন ও অধিক সন্তানের দু‘আ করল। তিনি বললেন, এরূপ বলো না, তোমরা তাই বলো যা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (اللهم بارك لهم وبارك عليهم) ‘‘হে আল্লাহ! তাদেরকে বারাকাত দান করো ও তাদের ওপর বারাকাত নাযিল করো।’’