২৩৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে

২৩৯৯-[১৯] সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন মুসলিম বান্দা সন্ধ্যার সময় ও ভোরে উঠে তিনবার বলবে, ’’রযীতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়াবিল ইসলা-মি দীনান ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যান’’ (অর্থাৎ- আমি আল্লাহকে প্রতিপালক, ইসলামকে দীন ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নবী হিসেবে পেয়ে খুশি হয়েছি)- নিশ্চয়ই এ দু’আ কিয়ামতের দিন তাকে খুশী করানো আল্লাহর জন্য অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়বে। (আহমদ, তিরমিযী)[1]

وَعَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ يَقُولُ إِذَا أَمْسَى وَإِذَا أَصْبَحَ ثَلَاثًا رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا إِلَّا كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُرْضِيَهُ يَوْمَ الْقِيَامَة» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ

وعن ثوبان قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ما من عبد مسلم يقول اذا امسى واذا اصبح ثلاثا رضيت بالله ربا وبالاسلام دينا وبمحمد نبيا الا كان حقا على الله ان يرضيه يوم القيامة» . رواه احمد والترمذي

ব্যাখ্যা: আত্ তিরমিযী’র শব্দে আবূ সালামাহ্ এর বর্ণনায় রয়েছে, তিনি সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় বলবে- (رَضِيتُ بِاللّٰهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا) অর্থাৎ- রব বা প্রতিপালক হিসেবে আল্লাহ পেয়ে, দীন হিসেবে ইসলামকে পেয়ে এবং নাবী হিসেবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পেয়ে সন্তুষ্ট রয়েছি। তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট থাকাও আল্লাহ তা‘আলার উপর কর্তব্য, আর আবী সালামাহ্ (রহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খাদিম থেকে বর্ণিত রয়েছে, সেখানে (وبمحمد رسولًا) বা রসূল হিসেবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি) নাবী’র পরিবর্তে রসূল বলা হয়েছে। ‘আল্লামা নাবাবী (রহঃ) ‘আল আযকার’-এ দু’টি হাদীস উল্লেখ করার পর বলেনঃ উভয় বর্ণনার মাঝে সমন্বয় করা মানুষের জন্য মুস্তাহাব।

অতএব মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্ষেত্রে (نبيًا رسولًا) (নাবিয়্যান রসূলান) বলতে হবে। তবে যদি এ দু’টোর একটি বলেন অর্থাৎ- نبيًا অথবা رسولًا তাহলে আলোচ্য হাদীসের উপর ‘আমল হবে। কারো মতে (نبيًا ورسولًا) বলা বিশুদ্ধ হবে। কারণ উভয় হাদীসের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘আমলে দু’টি গুণ সাব্যস্ত করাই হলো মূল উদ্দেশ্য।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)