২৩৬২

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্

২৩৬২-[৪০] উক্ত রাবী [আবূ যার (রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুনিয়ায় কাউকেও আল্লাহর সমতুল্য মনে না করে মৃত্যুবরণ করবে, তার পাহাড় পরিমাণ গুনাহ থাকলেও আল্লাহ তাকে মাফ করে দিবেন। (বায়হাক্বী ’’কিতাবিল বা’সি ওয়ান্ নুশূর’’-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন)[1]

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ لَقِيَ اللَّهَ لَا يَعْدِلُ بِهِ شَيْئًا فِي الدُّنْيَا ثُمَّ كَانَ عَلَيْهِ مِثْلَ جِبَالٍ ذُنُوبٌ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي كتاب الْبَعْث والنشور

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من لقي الله لا يعدل به شيىا في الدنيا ثم كان عليه مثل جبال ذنوب غفر الله له» . رواه البيهقي في كتاب البعث والنشور

ব্যাখ্যা: (مَنْ لَقِىَ اللّٰهَ لَا يَعْدِلُ بِه شَيْئًا فِى الدُّنْيَا) ‘‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় কোন কিছুকেই আল্লাহর সমতুল্য মনে না করে মৃত্যুবরণ করে’’। অর্থাৎ- দুনিয়াতে থাকাবস্থায় আল্লাহর সাথে শির্ক না করে মারা যায়। ঈমান আনা আর না আনা দুনিয়ার ব্যাপার। কেননা মৃত্যুর পরে বাস্তবতার সম্মুখীন হওয়ার পরে সকলেই আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে, সে ঈমান কারো উপকারে আসবে না যদি সে দুনিয়াতে ঈমান না এনে থাকে।

(كَانَ عَلَيْهِ مِثْلَ جِبَالٍ ذُنُوبٌ غَفَرَ اللّٰهُ لَه) ‘‘তার ওপর পাহাড় পরিমাণ গুনাহ থাকলেও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন’’। অর্থাৎ- আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাঁর সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। যেমন- আল্লাহ বলেনঃ وَيَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَن يَّشَآءُ ‘‘শির্ক ব্যতীত অন্য গুনাহ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন’’- (সূরা আন্ নিসা ৪ : ৪৮)।

ত্ববারানীতে বর্ণিত, নাহ্ওয়াস ইবনু সাম্‘আন (রাঃ) বর্ণিত হাদীসও অত্র হাদীসকে সমর্থন করে। তাতে আছে ‘‘যে ব্যক্তি শির্ক না করে মৃত্যুবরণ করবে তার জন্য আল্লাহর ক্ষমা বৈধ হয়ে যাবে’’।


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)