২৩৩১

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্

২৩৩১-[৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদয়ের (কিয়ামতের) আগে তওবা্ করবে আল্লাহ তা’আলা তার তওবা্ কবূল করবেন। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْاِسْتِغْفَارِ وَالتَّوْبَةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَابَ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا تَابَ الله عَلَيْهِ» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من تاب قبل ان تطلع الشمس من مغربها تاب الله عليه» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসটি [অর্থাৎ- ‘‘যেদিন আপনার পালনকর্তার কিছু নির্দশন আগমন করবে তখন কোন আত্মার ঈমান আনয়ন তার কোন কাজে আসবে না’’- (সূরা আল আন্‘আম ৬ : ১৫৮)] আল্লাহর এ বাণীর ব্যাখ্যা। তবে আয়াতটি ঈমান কবূল না হওয়ার সাথে নির্দিষ্ট। পক্ষান্তরে হাদীসটি স্বাভাবিকভাবে তাওবাহ্ গ্রহণ না হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করছে, চাই তাওবাহ্ কুফরীর ক্ষেত্রে হোক চাই অবাধ্যতার ক্ষেত্রে হোক। আর এ ব্যাপারে বিদ্বানদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে। সুতরাং চিন্তার প্রয়োজন। এভাবে লাম্‘আতে আছে।

(تَابَ الله عَلَيْهِ) অর্থাৎ- আল্লাহ তার তাওবাহ্ গ্রহণ করেছেন, তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদিত হওয়া তাওবাহ্ গ্রহণের সীমা।

বিশুদ্ধ হাদীসে এসেছে, নিশ্চয়ই তাওবাহ্ গ্রহণের একটি খোলা দরজা আছে, সর্বদা তাওবাহ্ গ্রহণ হতেই থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত দরজা বন্ধ না করা হবে। অতঃপর যখন পশ্চিম দিক হতে দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে এবং যে ব্যক্তি ইতোপূর্বে তাওবাহ্ করেনি তার তাওবাহ্ গ্রহণ বাধাপ্রাপ্ত হবে। আর এটি হল আল্লাহর [অর্থাৎ- ‘‘যেদিন আপনার পালনকর্তার কিছু নির্দশন আগমন করবে তখন কোন আত্মার ঈমান আনয়ন তার কোন কাজে আসবে না। যদি ইতোপূর্বে সে ঈমান এনে না থাকে অথবা তার ঈমানের সমর্থনে কোন কল্যাণ উপার্জন করে না থাকে’’- (সূরা আল আন্‘আম ৬ : ১৫৮)] এ বাণীর মর্মার্থ।

তাওবার দ্বিতীয় একটি সীমা আছে, আর তা হল মৃত্যুশয্যায় শায়িত ব্যক্তি তার গলাতে মৃত্যুর গড়গড়া আসার পূর্বে তাওবাহ্ করা। যেমন বিশুদ্ধ হাদীসে এরূপ এসেছে। গড়গড়া হল আত্মা ছিনিয়ে নেয়ার মুহূর্ত। সুতরাং ঐ মুহূর্তে তাওবাহ্ বা কোন কিছু গ্রহণ করা হবে না। কেননা এগুলো বিবেচনার বিষয় অদৃশ্যের প্রতি ঈমান আনার ক্ষেত্রে। আর এমন মুহূর্তে তার কৃত কোন ওয়াসিয়্যাত এবং অন্য কোন কিছু বাস্তবায়ন করা হবে না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)