২২৮৪

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলার জিকির ও তাঁর নৈকট্য লাভ

২২৮৪-[২৪] মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর যিকিরের চেয়ে আল্লাহর ’আযাব হতে রক্ষা করতে পারার মতো কোন ’আমল আল্লাহর কোন বান্দা করতে পারে না। (মালিক, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: مَا عَمِلَ الْعَبْدُ عَمَلًا أَنْجَى لَهُ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ. رَوَاهُ مَالِكٌ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَه

وعن معاذ بن جبل قال: ما عمل العبد عملا انجى له من عذاب الله من ذكر الله. رواه مالك والترمذي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: (مِنْ عَذَابِ اللّٰهِ مِنْ ذِكْرِ اللّٰهِ) সর্বপ্রকার সৎ ‘আমলের তা যেভাবেই করা হোক না কেন চাই মুখের মাধ্যমে চাই হাতের মাধ্যমে যে কোন কিছুর মাধ্যমই হোক না কেন তার পিছনে উদ্দেশ্য একটিই আর তা হলো আল্লাহর স্মরণ, তাই আল্লাহর জিকিরটাই মুখ্য উদ্দেশ্য।

আল্লামা ইবনু ‘আবদিল বার (রহঃ) বলেন, যিকিরের ফাযীলাত অনেক যা লিখতে গেলে একটি পূর্ণাঙ্গ কিতাব লেখা সম্ভব। যিকিরের ফাযীলাত বর্ণনার ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলার এ কথাটিই যথেষ্ট যেখানে তিনি বলেছেন,

...إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَالْمُنْكَرِ وَلَذِكْرُ اللهِ أَكْبَرُ وَاللهُ..

‘‘নিশ্চয় সালাত যাবতীয়, গর্হিত কর্মকা- থেকে দূরে রাখে আর আল্লাহর জিকির তাতো আরো বড় উপকারী।’’ (সূরা আল ‘আনকাবূত ২৯ : ৪৫)

ইমাম ত্ববারানী (রহঃ) তার ‘আল কাবীর’ নামক কিতাবে একটু বেশী করে বলেছেন এবং আবূ বাকর ইবনু আবী শায়বাহ্ তার মুসান্নাফ-এ সেখানে আছে, সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর জিকির কি আল্লাহর পথে জিহাদ করার চাইতেও উত্তম? উত্তরে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘হ্যাঁ, তবে যদি সে শাহাদাত বরণ করে তাহলে তা ভিন্ন’’- কথাটি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার বললেন।

ইমাম মালিক হাদীসটি কিতাবুস্ সালাত-এর (باب ما جاء في ذكر الله) তথা আল্লাহর যিকিরের ফাযীলাত কি? এ অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৯: দু‘আ (كتاب الدعوات)