পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২২৫০-[২৮] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে তিন লোকের দু’আ কবূল হয়। (১) পিতার দু’আ, (২) মুসাফিরের দু’আ এবং (৩) মাযলূমের (পীড়িতের) দু’আ। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ثَلَاثُ دَعَوَاتٍ مُسْتَجَابَاتٍ لَا شَكَّ فِيهِنَّ: دَعْوَةُ الْوَالِدِ وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُومِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
ব্যাখ্যা: (لَا شَكَّ فِيهِنَّ) মুল্লা ‘আলী কারী হানাফী (রহঃ) বলেন, অত্র হাদীসটিতে উল্লেখিত তিন শ্রেণীর দু‘আ কবূল হওয়ার কথা বলা হয়েছে এ কারণে যে, তারা অন্তরের দিক দিয়ে কোমল হয়ে আল্লাহরই নিকট শেষ আশ্রয় খুঁজে।
(دَعْوَةُ الْوَالِدِ) পিতার দু‘আ তার সন্তানের জন্য অথবা বদ্দু‘আ। অত্র হাদীসটিতে মাতার কথা উল্লেখ নেই কেননা মাতা তার সন্তানের প্রতি পিতার চেয়ে অনেকগুণ বেশি দয়াশীল সুতরাং তার দু‘আ কবূল হওয়ার আরো বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর প্রসিদ্ধ কিতাব ‘আদাবুল মুফরাদ’-এ পিতা-মাতা উভয়কে একই সাথে বর্ণনা করা হয়েছে।