২২৩৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২২৩৫-[১৩] আর এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রহঃ) মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব।[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَرَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ. وَقَالَ التِّرْمِذِيّ هَذَا حَدِيث غَرِيب

ورواه احمد عن معاذ بن جبل. وقال الترمذي هذا حديث غريب

ব্যাখ্যা: হাদীসটি মূলত মুসনাদে আহমাদ-এর, তবে ত্ববারানীতেও হাদীসটির বর্ণনা দেখতে পাওয়া যায় তবে উভয় বর্ণনাই ইসমা‘ঈল বিন ‘আইয়্যাশ থেকে, তিনি ‘আবদুল্লাহ বিন ‘আবদুর রহমান বিন আবী হুসায়ন আল মাক্কী থেকে, তিনি শাহর বিন হাওশাব থেকে, তিনি আবার মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে নিম্নের শব্দে বর্ণনা করেছেন শব্দগুলো হলো,

لن ينفع حذر من قدر ولكن الدعاء ينفع مما نزل ومما لم ينزل فعليكم بالدعاء عباد الله

অর্থাৎ- তাকদীর থেকে সতর্ক থাকা যায় না বা তা করে কোন উপকারও নেই তবে উপকার আছে আপতিত ও আগামীতে আপতিত আশংকাজনিত মুসীবাত থেকে বাঁচার দু‘আ করার মধ্যে। সুতরাং হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা বেশি বেশি দু‘আ করো।

হাদীসটির সানাদ সম্পর্কে ইমাম হায়সামী তাঁর প্রসিদ্ধ কিতাব মাজামাউয্ যাওয়ায়িদ-এ বলেছেন শাহর বিন হাওশাব মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে শুনেননি। পক্ষান্তরে ইসমা‘ঈল বিন ‘আইয়্যাশ যদি আহলে হিজায থেকে বর্ণনা করেন তাহলে তার বর্ণনাটি য‘ঈফ হয়।

‘আল্লামা ‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী (রহঃ) বলেছেন, হাদীসটি ইমাম বাযযার (রহঃ) ও মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)-এর থেকে বর্ণনা করেছেন, তবে এ সানাদেও ইব্রাহীম বিন খায়সাম নামে এক রাবী আছেন যিনি মাতরূক তথা পরিত্যাজ্য।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৯: দু‘আ (كتاب الدعوات)