২২১৬

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিরাআতের ভিন্নতা ও কুরআন সংকলন প্রসঙ্গে

২২১৬-[৬] ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার তিনি এক গল্পকারের নিকট গেলেন। তিনি দেখলেন, সে গল্পকার কুরআন পড়ছে। আর মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইছে। (এ দৃশ্য দেখে) তিনি দুঃখে ’ইন্না- লিল্লা-হি’ পড়লেন। এরপর বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কুরআন পড়ে সে যেন বিনিময়ে আল্লাহর কাছে কিছু চায়। খুব তাড়াতাড়ি এমন কিছু লোকের আগমন ঘটবে যারা কুরআন পড়ে বিনিময়ে মানুষের কাছে হাত পাতবে। (আহমদ ও তিরমিযী)[1]

وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ مَرَّ عَلَى قَاصٍّ يَقْرَأُ ثُمَّ يَسْأَلُ. فَاسْتَرْجَعَ ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فليسأل الله بِهِ فَإِنَّهُ سَيَجِيءُ أَقوام يقرؤون الْقُرْآنَ يَسْأَلُونَ بِهِ النَّاسَ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ

وعن عمران بن حصين رضي الله عنهما انه مر على قاص يقرا ثم يسال. فاسترجع ثم قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «من قرا القران فليسال الله به فانه سيجيء اقوام يقروون القران يسالون به الناس» . رواه احمد والترمذي

ব্যাখ্যা: কুরআন পড়ে বা কুরআনের আলোচনা করে এক ব্যক্তি মানুষের নিকট থেকে দুনিয়ার কোন বিনিময় চাইলে ‘ইমরান বিন হুসায়ন ‘‘ইন্না- লিল্লা-হি ওয়া ইন্না- ইলায়হি র-যি‘ঊন’’ পড়লেন। কারণ ঘটনা বর্ণনাকারী কুরআনের বিনিময়ে মানুষের নিকটে কিছু চাওয়া বিপদে নিপতিত হয়েছে। কেননা এটি বিদআত (বিদাত) বা পাপ কাজ। আর মুসলিমদের মাঝে এরূপ বিদআত (বিদাত) বা পাপকার্য প্রকাশ পাওয়া এক ধরনের বিপদ। অথবা তিনি নিজেই এরূপ জঘন্য অবস্থার সম্মুখীন হওয়ার পরীক্ষায় পড়েছেন যা এক ধরনের বিপদ। তাই তিনি ‘‘ইন্না- লিল্লা-হি ওয়া ইন্না- ইলায়হি র-যি‘ঊন’’ পড়লেন।

কুরআন পড়লে দুনিয়া ও আখিরাত সম্পর্কে আল্লাহর নিকটে চাইতে হবে। মানুষের কাছে নয়। হতে পারে যে, পাঠক যখন রহমাতের আয়াত পড়বে তখন সে আল্লার কাছে চাইতে। আর যখন শাস্তি সংক্রান্ত আয়াত পাঠ করবে- সে তখন তা থেকে আল্লাহর নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। আর তিলাওয়াতের শেষে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক বর্ণিত দু‘আর মাধ্যমে প্রার্থনা করবে। আর তার দু‘আ পরকালীন ও মুসলিমদের ইহকালে ও পরকালে কল্যাণের জন্য হওয়া উচিত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)